আলহামদুলিল্লাহ, নারায়ণগঞ্জের একই পরিবারের ৮ জনের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ !

2180

৮ জনের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ- নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লায় একই পরিবারের আট সদস্য হিন্দুধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট কেএম মহিউদ্দীনের আদালতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য তারা আবেদন করেন। আদালত তিনজনের আবেদন গ্রহণ করেন।

বাকি পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় তাদের আবেদন গ্রহণ করেনি। তবে আদালত জানিয়েছেন পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক তিনজন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে তাদের সন্তানরাও ইসলাম ধর্মের অনুসারী হয়ে যায়।

ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারীরা ফতুল্লার দক্ষিণ শিয়াচর এলাকার সাফল্য সরকার নাম পরিবর্তন করে মোহাম্মদ ওসমান গনি (৫৪) ও তার মেয়ে রিয়া রানী সরকার বর্তমান নাম মোসাম্মদ হালিমা আক্তার (২১), প্রিয়া রানী সরকার বর্তমান নাম আয়েশা আক্তার (১৮), প্রীতি রানী সরকার বর্তমান নাম মোসাম্মদ ফাতেমা আক্তার (১৩) প্রীয়ন্তী রানী সরকার বর্তমান নাম মোসাম্মদ খাদিজা আক্তার (১০), জুই রানী সরকার বর্তমান নাম মোসাম্মদ আমেনা আক্তার (৮)।

এদের মধ্যে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের পক্ষে আবেদন করেন বাবা ওসমান গনি। এছাড়াও শ্রাবন সরকার বর্তমান নাম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির (৪) রাকি রানী সরকার বর্তমান নাম উম্মে হাবিবা (২)।

এ দুই জনের পক্ষে আবেদন করেন তাদের মা হালিমা আক্তার। অ্যাড. আজিজুর রহমান মোল্লা জাগো নিউজকে জানান, একই পরিবারের আটজন আবেদন করলে আদালত তিনজনের আবেদন গ্রহণ করেছেন।

আর বাকিরা অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় আদালত তাদের আবেদন গ্রহণ করেনি। তবে অপ্রাপ্তরা পরিবারের সঙ্গে ইসলাম ধর্মে অনুসারী হলে তাতে কোনো সমস্যা নেই। হিন্দু ধর্ম থেকে তারা সজ্ঞানে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে।

ইউরোপে মাটির নিচে ১২০০ বছরের প্রাচীন মসজিদের সন্ধান লাভ!

ইউরোপের দেশ স্পেন। এক সময় মুসলিম অধ্যুসিত দেশটির বর্তমান রাজধানী মাদ্রিদের রেকোপোলিস গ্রামে ১২০০ বছরের পুরনো মসজিদের সন্ধান পাওয়া গেছে।

মাদ্রিদের প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে, মাটির নিচ থেকে যে স্থাপনা বেরিয়ে এসেছে তা দেখতো পুরোপুরি মসজিদের মতোই। আর এ মসজিদটিই ইউরোপের সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

রেকোপোলিস শহরে ৬০০ শতকের দিকে নির্মিত প্রাচীন এ মসজিদটি মাটির নিচে চাপা পড়েছিল বলে জানায় প্রত্নতত্ত্ববিদরা। রেকোপোলিস শহরটি ভিসগথিক শাসকরা নির্মাণ করেন।

শহরটিতে মুসলিম শাসনামলের বিভিন্ন নিদর্শন রয়েছে। ৮০০ শতকের দিকে রেকোপোলিস শহরটি পরিত্যক্ত হয়।

প্রত্নতত্ত্ববিদরা খননকাজ ছাড়াই জিওম্যাগনেটিক পদ্ধতিতে তাদের অনুসন্ধান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা এ স্থানের মাত্র আট শতাংশ তথ্য উপাত্ত উদঘাটন করতে পেরেছেন।

হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাইকেল ম্যাকক্রোমিক জানান, ‘যত জায়গায় আমরা জরিপ করেছি, প্রায় সব জায়গার ভবন, সড়ক ও গলি অনুসন্ধান করেছি।

২০১৪ সালে এই স্থান ভ্রমণ করতে এসে তিনি তার বন্ধু স্পেনের আলচালা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যঅপক ল্যারো ওলমোকে রসিকতা করে বলেন, এখানে একটি প্রাসাদ, একটি চ্যাপেল ও কিছু দোকানপাটের অবশিষ্টাংশ দেখা যায় কিন্তু বাকি শহরটি গেলো কোথায়?

পরবর্তী বছর ২০১৫ সালে তিনি পুরো শহরটির জরিপের কাজ শুরু করেন। কয়েকজন সহকর্মীসহ জিওম্যাগনেটিক পদ্ধতিতে তিনি স্থানটির সম্পূর্ণ জরিপ করেন।

জরিপ চলাকালীন সময় প্রত্নতত্ত্ববিদরা লক্ষ্য করেন, ‘অন্যান্য স্থাপনার চেয়ে একটি স্থাপনা ভিন্ন। যেটি পবিত্র নগরী মক্কা অভিমুখী। এছাড়াও স্থাপনাটির নকশাও প্রায় মধ্যপ্রাচ্যের মসজিদের আদলে নির্মিত।

তবে প্রত্নতত্ত্ববিদরা জানান, ‘মাটি না খুঁড়ে পুরোপুরি নিশ্চত হওয়া যাচ্ছে না যে, এটি মসজিদ নাকি অন্য কিছু। তবে নির্মাণ শৈলী দেখে অনুমান করা যাচ্ছে যে, মসজিদের আদলে কেবলামুখী এ স্থাপনাটি মসজিদই হতে পারে।

যদি এটি নিশ্চিত মসজিদই হয় তবে তা হবে ইউরোপের সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদ। যা হিসেবে প্রায় ১২০০ বছরেরও বেশি পুরনো হবে। এমনটিই দাবি করছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা।