চুল পড়া, ক্যানসার ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায় ‘জলপাই’

7400

বাজারে আসতে শুরু করেছে জলপাই। এটি একটি সুপরিচিত ফল। অনেকেই জলপাই পছন্দ করেন। কেউ কেউ আবার পছন্দ করেন এ আচার। শীতকালীন এ ফল নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর। আছে স্বাস্থ্য উপকারিতাও।

পুষ্টিগুণ: এটি ভিটামিন সি-এর একটি ভালো উৎস। গবেষণায় দেখা গেছে, এই ফল খনিজ, ভিটামিন, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ।

প্রতি ১০০ গ্রাম জলপাইয়ে খাদ্যশক্তি ৭০ কিলোক্যালরি, ৯ দশমিক ৭ শর্করা, ৫৯ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ও ১৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি।

স্বাস্থ্য উপকারিতা:

১. জলপাইয়ের তেলে পাওয়া যায় ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বক ও চুলের যত্নে কাজ করে। জলপাইয়ের তেল চুলের গোড়া মজবুত করে। চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা দূর হয়। জলপাইয়ের ভিটামিন-ই ত্বকে মসৃণ ভাব আনে।

২. জলপাইয়ের তেল হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁ’কি কমায়।

৩. নিয়মিত জলপাই খেলে গ্যাস্ট্রিক ও আলসার কম হয়। বিপাকক্রিয়া ঠিকভাবে হয়।

৪. কালো জলপাই ভিটামিন-ই এর ভালো উৎস। এটি ফ্রি র‌্যাডিকেল ধ্বংস করে। ফলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। জলপাইয়ের ভিটামিন-ই কোষের অস্বাভাবিক গঠনে বাধা দেয়। ফলে ক্যানসারের ঝুঁ’কি কমে।

৫. জলপাইয়ের মনো স্যাচুরেটেড চর্বিতে থাকে প্রদাহবিরোধী উপাদান। হাড়ের ক্ষয়রোধ করে জলপাই তেল।

৬. নিয়মিত জলপাই খেলে পিত্তথলির পিত্তরস ঠিকভাবে কাজ করে। পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার প্রবণতা কমে যায়।

৭. জলপাই প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। সর্দি, জ্বর ইত্যাদি দূরে থাকে। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

৮. জলপাই রক্তের চিনি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে জলপাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।

৯, নিয়মিত জলপাই খেলে পিত্তথলির পিত্তরস ঠিকভাবে কাজ করে। যার কারণে পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার প্রবণতা কমে যায়।

হার্ট ভালো রাখতে কিসমিসের গুরুত্ব

হার্ট ভালো রাখতে কিসমিস ভীষণ উপকারী। কিসমিসে থাকে নানা ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল।

কিসমিস না-খেয়ে শুধু কিসমিসের পানি খেলেও সেই ভিটামিন ও মিনারেল শরীরে প্রবেশ করে।

পানিতে ভেজানোর আরেকটা কারণ হলো- এতে কিসমিসে থাকা শর্করার মাত্রা কমে। রক্তস্বল্পতায় এটা খুবই উপকারী।

কারণ কিসমিস শরীরে নতুন রক্ত তৈরি করে। কিসমিসের পানি পান করলে পেট একদম পরিষ্কার হয়ে যায়।

সেইসঙ্গে রক্ত পরিষ্কার করতে কিডনির পাশাপাশি লিভারকেও ভালোভাবে কাজ করতে হবে। এজন্য লিভার ও কিডনির সমস্যা হলে শরীরে ক্ষতিকারক পদার্থ জমতে শুরু করে যা আমাদের অসুস্থ করে তোলে।

যেভাবে কিসমিসের পানি তৈরি করবেন:
২ কাপ পানি (৪০০ এমএল) ও ১৫০ গ্রাম কিসমিস লাগবে। এক্ষেত্রে কী ধরনের কিসমিস কিনছেন, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। খুব চকচক করছে, এমন কিসমিস কিনবেন না।

তাতে কেমিক্যাল মেশানো থাকে। চেষ্টা করুন গাঢ় রঙের কিসমিস কিনতে। তা-ও এমন কিসমিস নিতে হবে যা খুব শক্তও না আবার একদম নরম তুলতুলেও না।

কিসমিসগুলোকে ভালো করে কয়েক বার ধুয়ে নিন। এরপর একটি পাত্রে দু-কাপ পানি দিয়ে রাতভর কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ছেকে নিয়ে, সেই পানিটা হালকা গরম করে সকালে খালি পেটে খেয়ে নিন। ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট অন্য কিছু খাবেন না।