ঝাঁপিয়ে পড়ে পবিত্র কুরআন রক্ষা, যুবককে ‘হিরো অব দ্যা মুসলিম’ উপাধি !

1741

হিরো অব দ্যা মুসলিম- নরওয়েতে পবিত্র কোরআন জ্বা’লি’য়ে দেয়ার চেষ্টা করলে জনসম্মূখে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কোরআনকে রক্ষা করে ‘হিরো অব দ্যা মুসলিম’ বলে সোশ্যাল মিডিয়া প্রশংসিত হয়েছেন ইলিয়াস নামের এক যুবক। জিও নিউজের বরাতে জানা যায়, স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের সতর্কতা সত্ত্বেও ক্রিস্টিয়ানস্যান্ড শহরে পবিত্র কোরআন পু’’ড়ি”য়ে দেওয়ার চেষ্টা করে থারসন নামের এক অমুসলিম।

এর মাঝে ইলিয়াস নামের একজন মুসলিম পবিত্র কোরআন বাঁচানোর জন্য ব্যারিকেড সার্কেল ভেদ করে ঝাঁপিয়ে পড়ে সে কু’লা’ঙ্গা’রে’র উপর। লোকসম্মূখে তাকে মা’র’তে থাকে। কোরআন অ”ব”মা”ন”না”র দায়ে তাকে খুব মা’’র’ধো’র করা হয়। স্যোশাল মিডিয়ায় সে ভিডিও মুহূর্তে ছড়িয়ে গেলে ইলিয়াস কে ‘হিরো অব দ্যা মুসলিম’ বলে অবহিত করা হয়।

তবে ইলিয়াসের বিস্তারিত কোনো পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। ইলিয়াসের প্রশংসা করে স্যোশ্যাল মিডিয়ায় ইতোমধ্যেই লক্ষ লক্ষ মানুষ স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ইউরোপ এবং বিশ্বজুড়ে ই’স’লা’ম’ফো’বি’য়া’র উত্থানের বিষয়ে সতর্ক করতেও স্যোশ্যাল মিডিয়ায় সরব থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন মুসলিম কয়েকটি সংগঠন।

সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পাকিস্তান ইউনিয়ন নরওয়ে (প্যান) এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। প্যান এর চেয়ারম্যান চৌধুরী কামার ইকবাল বলেন, একজন ব্যক্তি পবিত্র কোরআনের অ’ব’মা’ন’না করে মুসলমানদের অ’নু’ভূ’তি’তে আ’’ঘা”ত করেছে।

তিনি আরো বলেন, নরওয়েজিয়ানরা শান্তিপূর্ণ মানুষ, মুসলিমরাও এখানে শান্তিতে বসবাস করছিলো, যদিও ইদানিং ই’স’লা’ম’ফো’বি’য়া বৃদ্ধি পেয়েছে, তারপরও নরওয়ে অন্যান্য ধর্মের অধিকারকে সম্মান করায় তারা বিশ্বজুড়ে বেশ সুনাম অর্জন করেছে।

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এ দু’র্ঘ’ট’না’টি প্রকাশ্য দিবালোকে ঘটেছিল এবং পুলিশ এটিকে থামাতে কিছুই করেনি, এজন্য তিনি পুলিশের নিন্দা করে বলেন, ইলিয়াস যখন কোরআন অ’ব’মা’ন’না বন্ধ করতে ঝাঁ’পি’য়ে পড়েছিল তখনও তারা নিরব ছিলো। পরবর্তিতে অন্যান্য আ’ন্দো’ল’ন’কা’রী’রা তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে।

প্যান চেয়ারম্যান নরওয়ে সরকারকে উগ্রপন্থার মাধ্যমে অন্য ধর্মের অ’ব’মা’ন’না’র দায়ে ও ধর্মীয় অ’নু’ভূ’তি’তে আ’ঘা’ত করার দায়ে অভিযুক্তদের অবিলম্বে বি’চা’রে’র দাবি জানান। এদিকে উ’গ্র’বা’দী কুরআন অ’ব’মা’ন’না’র ঘটনায় কঠোর নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক, পাকিম্তানসহ বেশ কয়েকটি মুসলিম প্রধান দেশ।

তারা বলেছেন, পবিত্র কুরআনের অ’ব’মা’ন’না অগ্রহণযোগ্য, কিছুতেই এই সী’মা’ল’ঙ্ঘ’ন মেনে নেয়া যায় না। ইসলাম বি’রো’ধী সংগঠন ‘স্টপ দ্যা ই’স’লা’মা’ই’জে’শ’ন অব নরওয়ে’কে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জন্য নরওয়ে-সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তারা।

উল্লেখ্য, ১৯৬০ এর দশকে প্রথম নরওয়েতে মুসলমানদের অবস্থান দৃশ্যমান হতে থাকে। ১৯৭৪ সালে রাজধানী অসলোতে প্রথম মসজিদ স্থাপিত হয়। বর্তমানে নরওয়েতে মুসলমানরা দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জনগোষ্ঠী। ২০১১ সালের হিসাব অনুযায়ী দেশটিতে মোট জনসংখ্যার ২.৩ শতাংশ মুসলমান।

৭ বছরের আবু তাহার স্বপ্ন মসজিদে আকসায় নামাজ পড়া

মহানবী (সাঃ) বলেন,“মসজিদুল হারাম ছাড়া অন্যান্য মসজিদের তুলনায় আমার এই মসজিদে (নববীতে) একটি নামায হাজার নামায অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।” (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৬৯২নং)

“আর অন্যান্য মসজিদের তুলনায় মসজিদুল হারামের একটি নামায এক লক্ষ নামায অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।” (আহমাদ, মুসনাদ, বায়হাকী, জামে ৩৮৩৮, ৩৮৪১ নং)

একজন মুমিন বান্দার ইচ্ছা হবে মসজিদে আকসায় নামাজ পড়া এটাই স্বাভাবিক। ৭ বছরের শিশু ফিলিস্তিনের কনিষ্ঠতম কুরআনের হাফেজ ইয়াহিয়া নুরুদ্দীন রায়িস আবু তাহা।

ছোট্ট আবু তাহার একমাত্র ইচ্ছা হলো অসংখ্য নবি-রাসুলের আগমনের শহর জেরুজালেম নিজ চোখে দেখা এবং মসজিদে আকসায় নামাজ আদায় করা।

আবু তাহা’র ভাষায়, ‘আমার বয়স ৭ বছর। আমি আমার পিতা-মাতা ও শিক্ষকদের সহায়তায় মহাগ্রন্থ আল-কুরআনুল কারিম মুখস্ত করতে সক্ষম হই।’

পড়াশুনায় সফল হয়ে চিকিৎসক হওয়ারও স্বপ্ন দেখে ছোট্ট আবু তাহা। কনিষ্ঠ হাফেজ আবু তাহা’র একমাত্র ইচ্ছা জেরুজালেম শহর নিজ চোখে দেখা

এবং মুসলমানদের প্রথম কেবলা বায়তুল মুকাদ্দাসে নামাজ আদায় করা। আল্লাহ তাআলা ছোট্ট হাফেজ আবু তাহা’কে কুরআনের খাদেম হিসেবে কবুল করুন। আমিন।