বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সমাধানে অ্যালোভেরার গুণাবলি !

2726

অ্যালোভেরার অনেক গুণ- বহুল পরিচিত ও ব্যবহৃত একটি উদ্ভিদ হলো অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী। এই উদ্ভিদের গুণের কোনো অভাব নেই। অ্যালোভেরা খুবই সহজলভ্য এই উদ্ভিদ।

রস হিসেবে খাওয়া যায় আবার ত্বকের ব্যথায় প্রতিষেধক হিসেবেও লাগানো যায়। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, জিংক, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, ফলিক অ্যাসিড, অ্যামিনো অ্যাসিড ও ভিটামিন-এ, বি৬ ও বি২ ইত্যাদি, যা স্বাস্থ্য রক্ষার বিভিন্ন কাজে লাগে।

হজম প্রক্রিয়া :

হজম শক্তি বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরার তুলনা হয় না। এর অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান পাকস্থলীর সমস্যা এবং গ্যাসের সমস্যা দূর করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস জল বা গুড়ের শরবতের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।

ডায়াবেটিস :

যারা ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত অ্যালোভেরা রস খেলে র’ক্তে’র গ্লুকোজের পরিমাণ কমিয়ে আনতে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।

চুলের যত্নে :

চুলের শুষ্ক ভাব এবং ত্বকে চুলকানি দূর করার জন্য অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারবেন। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান চুল পড়া ও খুশকির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে। তাই অ্যালোভেরা রসের সঙ্গে আমলকীর রস মিশিয়ে চুলে লাগালে এতে চুলের উজ্জ্বলতাও বেড়ে যাবে।

ত্বকের যত্নে :

বহু বছর ধরে ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ত্বকে র‌্যাশ, চুলকানি, রোদে পড়া দাগ দূর করতে অ্যালোভেরার তুলনা হয় না। যেকোনো উপটান বা প্যাক অথবা সরাসরি এই জেল লাগালে ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ থাকে এবং বয়সের ছাপ মুছে যায়।

ওজন কমাতে :

ওজন কমাতে অ্যালোভেরার জুস অনেক বেশ কার্যকরী। অ্যালোভেরা জুসের অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান শরীরের জমে থাকা মেদ দূর করে এবং কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ওজন কমাতে সাহায্য করে।

হার্ট ও দাঁতের যত্নে :

অ্যালোভেরার জুস কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে রাখে। এটি দূষিত র’ক্ত দেহ থেকে বের করে দেয় এবং হৃদ যন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও অ্যালোভেরা জুস দাঁত এবং মাড়ির ব্যথা ও ইনফেকশন নিবারণে সহায়তা করে।

ঘুম কম-বেশি হলে হতে পারে বিভিন্ন রোগ

অনেক রাত পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের কাজ এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যস্ত থাকার ফলে ঘুম কমে গেছে অনেকেরই। ফলে বাড়ছে রোগ। বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে, যারা কম ঘুমায় কিংবা যারা বেশি ঘুমায় তারা নানা রোগে আক্রান্ত হয় এবং কম বাঁচে।

এমনকি মোটাও হয়ে যেতে পারে কম ঘুমানোর ফলে। মোটের ওপর অন্তত ছয় ঘণ্টা ঘুম প্রত্যেকের প্রয়োজন।

গবেষণায় উঠে এসেছে, বয়ো সন্ধিকালের আগ পর্যন্ত প্রতি রাতে ১১ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। নব জাতক দের প্রতিদিন ১৮ ঘণ্টা ঘুম দরকার। যাদের বয়স ১৩ থেকে ১৯ বছর, তাদের প্রতিরাতে ১০ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু কম ঘুমের কারণে স্বাস্থ্য খারাপ হয় কিনা তা বলা কঠিন। তবে একটির সাথে আরেকটির সম্পর্ক আছে। অনেকে আছেন, যারা সাংঘাতিকভাবে ঘুম বঞ্চিত। রাতে এক-দুই ঘণ্টার বেশি তাদের ঘুম হয় না। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর কারণে স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায়।

ঘুম কম হওয়ার কারণে শারীরিক ভাবে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। পৃথিবী জুড়ে একশ ৫৩টি গবেষণা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কম ঘুমের কারণে ডায়াবেটিস, উচ্চ র’ক্ত’চাপ, হৃদরোগ এবং মোটা হয়ে যাওয়ার সম্পর্ক আছে। প্রায় ৫০ লাখ মানুষের ওপর এসব গবেষণা চালানো হয়েছে।

গবেষণায় দেখা যায়, একটানা কয়েক রাত যদি ঘুম কম হয়, তাহলে সেটি ডায়াবেটিসের দিকে নিয়ে যেতে পারে। এ ধরনের নিদ্রা হীনতা র’ক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে শরীরের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।

ঘুম কম হলে টিকার কার্যকারিতা এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুম হলে ক্ষুধার তীব্রতা বাড়ে এবং এতে বেশি খাবারের চাহিদা তৈরি হয়। ফলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।