বৃদ্ধাশ্রমে মারা যাওয়া প্রকৌশলী বাবার জানাজায় আসেনি সন্তানরা

1891

বৃদ্ধাশ্রমে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির শেষ বিদায় বেলাও আসেনি তার ছেলে-মেয়ে কিংবা কোন স্বজন। এমন ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের একটি বৃদ্ধাশ্রমে।

গৌরনদী উপজেলার দক্ষিণ চাঁদশী গ্রাম নিবাসী এস এম মনছুর (৭৫) রোববার বিকেলে অসুস্থ হয়ে বৃদ্ধাশ্রমে মারা যান মনছুর। পরে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে মরহুমের জানাজা শেষে স্থানীয়রা পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করেন। এ সময় মৃতের কোন সন্তান ও স্বজন সেখানে ছিলেন না।

দক্ষিণ চাঁদশী গ্রামের একাধিক গ্রামবাসী জানান, এস এম মনছুর টিএন্ডটি বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র এ্যাসিন্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (প্রকৌশলী) ছিলেন।

ছয় মাস আগে রংপুরের হারাগাছ থানার বকসা বৃদ্ধাশ্রমে ঠাঁই হয় বৃদ্ধ মনছুরের। তারা আরও জানান, ওই বৃদ্ধের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

এরমধ্যে বড় ছেলে মহিন সরদার ঢাকায় চাকরি করেন, ছোট ছেলে রাজু সরদার কাতার প্রবাসী।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মৃত মনছুরের এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বলেন, ঢাকায় প্রায় কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য মনছুরের দুই ছেলে ও বোন সেলিনা বেগম ১০ বছর আগে তাকে (মনছুর) মৃত দেখিয়ে বাসা থেকে বের করে দেয়। এরপর মনছুর ওই বাসায় ফিরতে পারেনি।

অভিযোগের ব্যাপারে মৃত মনছুরের ছেলে মহিন সরদারের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা ফোন রিসিভ না করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

রংপুরের হারাগাছ থানার বকসা বৃদ্ধাশ্রমের সদস্য সচিব নাহিদ নুসরাত বলেন, চলতি বছরের ২১ জুন রাত সাড়ে এগারোটার দিকে অসুস্থ অবস্থায় বৃদ্ধ মনছুর আমাদের বৃদ্ধাশ্রমে আসেন। এরপর থেকে তিনি আমাদের বৃদ্ধাশ্রমেই ছিলেন।