নায়িকা শাবানা। ১৯৯৭ সালে প্রথম অ’ভিনয় ছেড়েছেন তিনি। অনেকেই এখনো জানেন না কেন অ’ভিনয় ছেড়ে দিয়েছিলেন।
হয়ত ভেবেছেন, আগের মত ছবি হিট হচ্ছে না শাবানার অথবা বুড়ো হয়ে যাচ্ছেন তিনি অথবা কেউ নিচ্ছিলেন না তাকে?
এই ধরণের ভাবা আসলেই বেশ স্বাভাবিক। তবে জানেন কি, এর একটি কারণেও সিনেমা ছাড়েননি শাবানা। তাহলে কেন সিনেমা ছেড়েছেন তিনি?
এক জীবনে শাবানা যত নাম, যশ, খ্যাতি, প্রতিপত্তি যা কিছুই অর্জন করেছেন সবটুকুই তার অ’ভিনয় আর চলচ্চিত্রের কারণে। তবে হঠাৎ কেন তিনি নিজেকে এইভাবে আড়াল করে ফেললেন?
এতদিন পরে এসে শাবানার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে সেই উত্তর। শাবানা নাকি কেবল অ’ভিনয়ই ছাড়েননি, রীতিমত ‘তওবা’ করেছিলেন।
জানা যায়, ১৯৯৭ সালে তার আমেরিকা প্রবাসী মেয়ে সুমী ইকবালকে কিছুতেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন তিনি মনে মনে নিয়ত করেন, যদি মেয়েকে ফিরে পান তাহলে জীবনে আর কখনো অভিনয় করবেন না।
বরং সিনেমা জগৎকেই তিনি ছেড়ে দিয়ে ধর্ম চর্চায় মন দিবেন। মেয়েকে ফিরে পেয়ে তিনি অভিনয়, চলচ্চিত্র ছাড়েন, দেশও ছাড়েন। স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন আমেরিকায়।
শাবানার বড় মেয়ে সুমী ইকবাল পড়াশোনার পাট চুকিয়েছেন। বিয়ে করে এখন সে পুরোদস্তুর গৃহিণী। ছোট মেয়ে ঊর্মি সাদিক হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছেন। ছেলে নাহিন সাদিক রটগার্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করে চাকরি করছেন।
আফরোজা সুলতানা রত্না। শাবানা নামেই অধিক জনপ্রিয়। ১৯৬২ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে নতুন সুর চলচ্চিত্র দিয়ে তার চলচ্চিত্রে আবির্ভাব ঘটে।
পরে ১৯৬৭ সালে ‘চকোরী’ চলচ্চিত্রে চিত্রনায়ক নাদিমের বিপরীতে প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি ৩৬ বছর কর্মজীবনে ২৯৯টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ষাট থেকে নব্বই দশকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ছিলেন এই অভিনেত্রী।