মেয়ের বিয়েতে হেলিকপ্টার ভাড়া করলেন কৃষক বাবা !

1160

মেয়ের বিয়েতে হেলিকপ্টার ভাড়া- মাহিন্দ্র সিং পেশায় কৃষক । ভারতের রাজস্থান রাজ্যের ঝুনঝুনু গ্রামের এই ভদ্রলোক। দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন কাটিয়ে তিনি বর্তমানে কৃষিকাজে মন দিয়েছেন। মাহিন্দ্র যখন বিদেশে আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন তখন তার মেয়ে রিনা সিং প্রায়ই তার কাছে উড়োজাহাজে ওঠার বায়না ধরত। আবদারের সুরে ছোট্ট রিনা বলত- বাবা তুমি তো প্লেনে যাও। আমি কবে প্লেনে উঠব?

সেদিনের সেই ছোট্ট রিনা বড় হয়েছে। বিয়ের সানাইও বেজেছে। নিজের সীমিত সামর্থ্য দিয়ে একটু একটু করে বাবা মাহিন্দ্র সিং মেয়ের সব আশা পূরণ করেছেন। কিন্তু রিনার সেই শৈশবের লালিত উড়োজাহাজে ওঠার স্বপ্ন পূরণ করা হয়নি।

বিয়ের কিছুদিন আগে মেয়ের ছোট বেলার বিমানে চড়ার বিষয়টি মাহিন্দ্রর মাথায় ব্যাপারটা ঘুরপাক খাচ্ছিল। তিনি পরিকল্পনা করেন বিয়ের দিনই মেয়ের স্বপ্ন পূরণ করবেন। মেয়েকে হেলিকপ্টারে শ্বশুর বাড়ি পাঠাবেন।

এরপর তিনি গোপনে হেলিকপ্টার ভাড়া করেন। স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে উড্ডয়নের অনুমতিও নেন। বিয়ের দিন যখন বাড়ির পাশে খোলা জায়গায় হেলিকপ্টার এসে নামে তখন রিনা বিস্মিত চোখে বাবার দিকে তাকিয়ে দেখেন- তিনি মুখ টিপে হাসছেন! ততক্ষণে মেয়ের চোখে নেমেছে আনন্দঅশ্রু।

যথারীতি বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নতুন বর-বধূকে নিয়ে হেলিকপ্টার গন্তব্যে রওনা হয়ে যায়। মেয়েকে বিদায় দিয়ে মাহিন্দ্র সিং বেদনায় ভারাক্রান্ত হলেও মনটা তার আনন্দে ভরে ওঠে।

ভাবতে থাকেন জীবনের শেষ সঞ্চয় দিয়ে হলেও মেয়ের আশা তিনি পূরণ করতে পেরেছেন। মাহিন্দ্রর আর্থিক অবস্থা ততটা স্বচ্ছল না হলেও বাবা হিসেবে তিনি যা করেছেন এলাকায় সাড়া পড়ে গেছে। প্রশংসার বৃষ্টিতে ভিজছেন তিনি।

‘আমি ঘুষ খাই না’ লিখে সাইনবোর্ড টানালেন সরকারী কর্মকর্তা

সরকারি কর্মকর্তারা যেখান সুযোগ পেলেই উপরি আদায়ে ব্যস্ত সেখানে ব্যতিক্রমী এক কাজ করলেন অ্যাডিশনাল ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার অশোক।

আর এসব কর্মকাণ্ডেই বিরক্ত ভারতের তেলেঙ্গেনা রাজ্যের ডিস্ট্রিবিউশন কর্পোরেশন লিমিটেডের অ্যাডিশনাল ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার অশোক।

তাই তিনি অফিসে নোটিশ টাঙিয়ে রেখেছেন আমি ঘুষখোর নই। ভারতের তেলেঙ্গানার করিমনগরের এক সরকারি অফিসে এমন অভূতপূর্ব দৃশ্যের দেখা মিলেছে। তার লেখা এই নোটিশ ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ইঞ্জিনিয়ার অশোক ডিস্ট্রিবিউশন কর্পোরেশন লিমিটেড সংস্থায় কর্মরত।

কাজ আদায়ের জন্য লোকে তাকে নিয়মিতই ঘুষ সাধেন। আর তাতেই বিরক্ত হয়ে নিজেকে বাঁচাতে ওই নোটিশ টাঙাতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

নোটিশ যেন কারোর চোখ না এড়ায় সেজন্য অশোক তার চেয়ারের পেছনের দেওয়ালে ঝকঝকে লাল রঙের বোর্ডে সাদা রঙে তেলুগু ভাষায় এই নোটিশ লিখেছেন। প্রায় ৪০ দিন আগে লাগানো এই বোর্ড সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

জানা গেছে, গত ১৪ বছর ধরে বিদ্যুৎ বিভাগের এই দফতরে কাজ করছেন অশোক। তার ভাষ্য, ভয়ানক অভিজ্ঞতার শিকার তিনি। সবাই এখানে এসে ঘুষ দিয়ে আগে কাজ করাতে চায়। ১৪ বছর ধরে বলতে বলতে তিনি হয়রান। তাই আর না থাকতে পেরে এই বোর্ড লাগিয়েছেন।