যে ৪ টি আমল করলে নারীর জন্য জান্নাতের ৮ দরজাই খোলা

1720

যে ৪ টি আমল করলে নারীর জন্য জান্নাত- বিখ্যাত হাদিস গ্রন্থ বুখারি ও মুসলিমের দীর্ঘ একটি হাদিসে এসেছে, হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহ আনহু বর্ণনা করেন যে,

একবার ঈদুল ফিতরের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদগাহে গিয়ে উপস্থিত নারীদেরকে লক্ষ্য করে বললেন, ‘হে নারী সম্প্রদায়! দান খয়রাত কর; কেননা আমাকে জানানো হয়েছে যে, দোজখের অধিকাংশ অধিবাসি তোমাদের নারী সম্প্রদায়েরই হবে।

অন্য এক হাদিসে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেন, ‘যে নারী-

১- পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে;

২- রমজানের রোজা রাখবে;

৩- স্বীয় গুপ্তস্থানের হেফাজত করবে ( পর্দা রক্ষা করে এবং ব্য’ভি’চা’র থেকে বিরত থেকে);

৪- স্বামীর আনুগত্য করবে।

এমন নারীদের জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হবে। যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। (তিরমিজি ও তাবরানি)

প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ হাদিসের আলোকে কোনো নারী যদি তার ওপর অর্পিত উল্লেখিত ৪টি কাজ যথাযথভাবে পালন করে; ওই নারীর জন্য জান্নাতের ৮টি দরজাই খোলা থাকবে। কারণ উল্লেখিত কাজগুলোর দ্বারা আল্লাহ তায়ালা কর্তৃক নির্ধারিত নারীর জন্য সব বিধানই পালন করা হয়ে যাবে।

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহ সব নারীদেরকে উল্লেখিত হাদিসের আলোকে নামাজ, রোজা, চরিত্র ও স্বামীর আনুগত্য করার তাওফিক দান করুন। জান্নাতের সব ক’টি দরজাই তাদের জন্য সুনিশ্চিত থাকুক। আল্লাহুম্মা আমিন।

পৃথিবীর সবচেয়ে ‘ছোট’ মসজিদ বাংলাদেশেই!

পরিত্যক্ত একটি মসজিদ। ওপরে মাত্র একটি গম্বুজ। আছে ছোট আকৃতির একটি দরজা। ভেতরে মাত্র তিনজন মানুষের নামাজ পড়ার জায়গা আছে। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এরচেয়ে ছোট মসজিদের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানা যায়নি। তাই অনেকের মতে এটিই বিশ্বের সবচেয়ে ছোট মসজিদ।

বগুড়ার সান্তাহার থেকে ৩ কিলোমিটার ভেতরে তারাপুর একটি গ্রাম। এই গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় এখনো কালের সাক্ষী হয়ে আছে এই মসজিদটি। লম্বায় এই মসজিদের উচ্চতা ১৫ ফুট আর প্রস্থ ৮ ফুট, দৈর্ঘ্য ৮ ফুট। এর দরজার উচ্চতা ৪ ফুট আর চওড়া দেড় ফুট। একজন মানুষ অনায়াসে সেখানে ঢুকতে বা বের হতে পারেন। একটি গুম্বুজ আছে, যেটা অনেকটাই উঁচুতে।

‘নামহীন’ এই মসজিদটির দেয়ালের পুরুত্ব দেড় ফুট। তবে যে ইটগুলো মসজিদের দেয়ালে ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো অর্ধেক ভাঙা (এই ইটকে গ্রামে অধলা ইট বলে)। মসজিদের দরজায় দুটি রাজকীয় নিদের্শনার আদলে নির্মিত খিলান রয়েছে। এই মসজিদ নির্মাণ নিয়ে বেশ কয়েকটি মত প্রচলিত রয়েছে। এরমধ্যে একটি ঘটনা সবচেয়ে প্রচলিত।

জানা যায়, সান্তাহারের ছাতিয়ানে ছিল রানি ভবানীর বাবার বাড়ি। আর সান্তাহারের আশেপাশেসহ তারাপুরও রানি ভবানীর বাবার রাজত্ব ছিল। তারই অংশ হিসেবে রানি ভবানীর আসা-যাওয়া ছিল এই গ্রামে। একজন মুসলমান মহিলা এই গ্রামে ছিলেন, যিনি পরহেজগার। হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা হওয়ার কারণে ওই মহিলার নামাজ পড়ায় অনেক অসুবিধা হতো। রানি ভবানী এমন কথা জানতে পেরে তিনি নিজেই এই গ্রামে চলে আসেন আর সেই মহিলাকে যেন কেউ তার নামাজে অসুবিধা না করতে পারে সেজন্য পেয়াদাদের হুকুম দেন রাজকীয় নকশায় একটি মসজিদ তৈরি করে দেয়ার।

এলাকাবাসীরা জানায়, প্রায় দেড়শ’ বছর আগে এখানে নামাজ পড়া হতো। কে বা কারা, কেন এই মসজিদ নির্মাণ করেছেন এ নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে অনেক মতবিরোধ আছে। তারা ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছেন এই মসজিদ এভাবে, একই অবস্থায় আছে। কেউ কেউ এখানে মানতও করে।