লিভারের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে কি খাবেন, জেনে নিন…

2683

অলসতার কারণে মৃ ত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে। সুস্থ থাকতে হলে সবার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। ওজন নিয়ন্ত্রণে না রাখলে শরীরে বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধে। তাই অবশ্যই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

আমাদের অনেকেরই একটি সমস্যা হচ্ছে লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমা হওয়া। লিভারে অতিরিক্ত চর্বি তাড়াতে সারা বছরই ডায়েট করেন অনেকে।

তবে রোজার মাসে খাওয়ার সময় পরিবর্তন হওয়ায় ডায়েটেও সময় পরিবর্তন হয়। তাই যাদের লিভারের অতিরিক্ত চর্বি রয়েছে তারা কীভাবে রোজায় ডায়েট করবেন?

আধুনিক জীবনযাত্রা, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে যেসব অসুখ সহজেই শরীরে বাসা বাঁধে তার অন্যতম ফ্যাটি লিভার।

চিকিৎসকদের মতে,আমাদের প্রত্যেকের লিভারেই একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে চর্বি থাকে। সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত চর্বি জমে গেলে তা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তররা রোজায় যেসব খাবার নিয়ে সচেতন থাকবেন

১. যাদের লিভারের অতিরিক্ত চর্বি জমা হয়েছে তারা তেলেভাজা কোন খাবার খাবেন না

২. লিভারের অতিরিক্ত চর্বি থাকলে যদি দুধ খেতে চান, তবে ফ্যাট ফ্রি দুধ খেতে পারেন

৩. বিরিয়ানি, তেহারি, ফ্রাইড চিকেন খাবেন না

৪. মাছ বা মুরগির মাংস খেতে পারেন, তবে গরু, খাসির মাংস, ভেড়ার মাংস খাওয়া যাবে না

৫. ফল বা ফলের রস, সবজি, ভাত, ওটস, চিড়া ,খই, ছোলা, সুপ, সবজি খিচুড়ি (কম তেলে রান্না) থেতে পারেন ৬. চিকেন স্যান্ডউইচ (মেয়নেজ ছাড়া), মোমো, ভাপে তৈরি পিঠা, চিতই পিঠা, প্যানকেক ইত্যাদি খেতে পারবেন। লেবুর শরবত সারাবে হাজারো রোগ…

আসুন জেনে নেই লেবুর শরবত সারাবে যেসব রোগ।

১. একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, লেবু শরবত লিভারে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানেরা বের করে। ফলে লিভারের যে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।

২. লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম। যা দেহের ভেতরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করে।

৩. ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে লেবু পানি খেলে দেহের ভেতরে পি এইচ লেভেলের ভারসাম্য ঠিক থাকে। ফলে দেহের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৪. সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, টিবি রোগের চিকিৎসায় ওষুধের সঙ্গে লেবুর মতো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খেলে ওষুধের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৫. বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন লেবু খেলে দেহের ভেতরে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৬. লেবুর পানি ব্যবহারে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে। ত্বকের হারিয়ে যাওয়া ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনে। পাশাপাশি ব্ল্যাক হেডস এবং বলিরেখা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৭. নিয়মিত লেবু পানি খেলে শরীরে জমে থাকা অতিরিক্তি মেদ ঝরে যায়। লেবুর ভেতরে পেকটিন নামক একটি উপাদান, শরীরে প্রবেশ করার পর অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে বারে বারে খাবার খাওয়ার ইচ্ছা চলে যায়। ওজনও কমে।

৮. লেবু খেলে এনার্জির ঘাটতি দূর হয়। ঘুম থেকে উঠে চা বা কফি না খেয়ে প্রতিদিন এক গ্লাস করে লেবুর পানি খান। ফলে সকাল সকাল শরীর এবং মস্তিষ্ক চাঙ্গা হয়ে উঠতে একেবারেই সময় লাগে না।

৯. লেবুর শরবত শ্বাস কষ্টের মতো সমস্যা কমে যায়। যারা অ্যাস্থেমা বা কোনও ধরনের রেসপিরেটরি প্রবলেমে ভুগছেন তারা খেতে পারেন লেবুর শরবত।

১০. স্ট্রেস এবং অবসাদের থেকে মুক্তি দেবে লেবুর শরবত। একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, নিয়মিত লেবুর পানি খেলে স্ট্রেস একেবারে কমে যায়।

১১. লেবু পানিতে থাকে প্রচুর মাত্রায় পটাশিয়াম, যা র ক্ত চাপকে স্বাভাবিক রাখে। যারা এ রোগে ভুগছেন তারা প্রতিদিন সকাল-বিকাল লেবু পানি খাওয়া শুরু করুন, দেখবেন দারুন ফল পাবেন।

১২. বদ হজম, কনস্টিপেশন, বারংবার পেট খারাপসহ নানাবিধ পেটের রোগে খেতে পারেন লেবুর শরবত। ফলে স্টমাক অ্যাসিডের ক্ষরণ ঠিক মতো হতে শুরু করবে। ফলে রোগের প্রকোপ তো কমবে ও শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকর উপাদান বা টক্সিনও বেরিয়ে যাবে।

১৩. মুখ থেকে খুব দুর্গন্ধ হলে লেবু পানি খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন বদ গন্ধ একেবারে কমে যাবে। এছাড়া মাড়ি থেকে র ক্ত পাত এবং দাঁতে যন্ত্রণা হওয়ার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে লেবুর শরবত।

১৪. লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ। যে কোনও ধরনের সংক্রমণ, বিশেষত গলার সংক্রমণ কমাতে দারুনভাবে কাজ করে লেবুর পানি।