কৃত্রিমভাবে ‘মোটাতাজা’ গরু চিনবেন যেভাবে

1744

কৃত্রিমভাবে ‘মোটাতাজা’ গরু চিনবেন- আগামী ১২ আগস্ট পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানির ঈদে দেশে প্রায় ৪০-৫০ লাখ গবাদিপশু জ বা ই করা হয়। আর এর মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই গরু কোরবানি দেয়া হয়।

এসব গরুর চাহিদার কথা মাথায় রেখে অসাধু ব্যবসায়ী থেকে বহু খামারি গরু ‘মোটাতাজা’ করেন। অন্যদিকে পেশাদার সৎ খামারিরা সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে বা প্রাকৃতিক উপায়ে গরু পালন করে থাকেন। তবে এক শ্রেণির অসাধু খামারি নি ষি দ্ধ ওষুধ প্রয়োগ করে গরু ‘মোটাতাজা’ করেন।

তারা স্টেরয়েড গ্রুপের ওষুধ, যেমন- ডেকাসন, ওরাডেক্সন, প্রেডনিসোলন ইত্যাদি সেবন করিয়ে অথবা ডেকাসন, ওরাডেক্সন স্টেরয়েড ইনজেকশন দিয়ে গরুকে মোটাতাজা করেন। এ ছাড়া হরমোন প্রয়োগ (যেমন ট্রেনবোলন, প্রোজেস্টিন, টেস্টোস্টেরন) করেও গরুকে মোটাতাজা করা হয়।

কৃত্রিম ভাবে মোটা করা গরুর মাংস মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এ কারণে এসব পশু কোরবানি দেওয়া উচিত নয়। তবে বেশিরভাগ সাধারণ গৃহস্থ কোনটি প্রাকৃতিক আর কোনটি কৃত্রিম ভাবে মোটাতাজা করা হয়েছে, তা বুঝতে পারেন না।

আসুন তাহলে জেনে নেই যে বিষয়গুলো খেয়াল করলেই এই পার্থক্য ধরা সম্ভব-

আঙুলের চাপ :

কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা গরুর গা ‘পানি নামা’ রোগীর শরীরের মতো ফুলে থাকে। এই গরুর গায়ে আঙুল দিয়ে চাপ দিলে ওই স্থানের মাংস দেবে যায় এবং আগের অবস্থায় ফিরে আসতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু প্রাকৃতিক ভাবে মোটা করা পশুর গায়ে চাপ দিলে মাংস খুব বেশি দেবে যাবে না এবং যতটুকু দেবে যাবে, তা সঙ্গে সঙ্গে আগের অবস্থায় চলে আসবে।

ঘন শ্বাসপ্রশ্বাস:

কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা গরু দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস গ্রহণ করে। একটু হাঁটলেই হাঁপায়। খুবই ক্লান্ত দেখায়।

রানের মাংস:

ইনজেকশন দেওয়া গরুর রানের মাংস স্বাভাবিক গরুর রানের মাংসের চেয়ে অনেক নরম থাকে।

লালা বা ফেনা:

যেসব গরুর মুখে কম লালা বা ফেনা থাকে, সেই গরু কেনার চেষ্টা করুন। এগুলো কৃত্রিম উপায়ে মোটা করা পশু নয়।

খুব ক্লান্ত দেখায়:

সুস্থ গরু একটু চটপটে থাকে। কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা গরু শরীরে পানি জমার কারণে নড়া-চড়া কম করে।

হাড় বেরিয়ে পড়া:

যেসব গরুর চেহারা স্বাভাবিক উষ্কখুষ্ক এবং চামড়ার ওপর দিয়ে হাড় বেরিয়ে থাকে, সেগুলো সুস্থ ও প্রাকৃতিকভাবে মোটা করা গরুর লক্ষণ। বেশি চকচক করা গরু বা ছাগলের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি থাকে।

নাকের ওপরের অংশ ভেজা:

সুস্থ গরুর নাকের ওপরের অংশ ভেজা বা বিন্দু বিন্দু ঘাম জমা থাকবে। অন্যদিকে অসুস্থ গরুর নাক থাকবে শুকনা।

তাপমাত্রা:

গরুর শরীরে হাত দিয়ে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মনে হলে বুঝতে হবে গরুটি অসুস্থ।

কলার খোসাও উপকারী…

ব্রণ কমানো, দাঁত উজ্জ্বল করা বা মশার কামড়ে জ্বালাভাব কমাতে কলার খোসা ব্যবহার করা যায়।

খাদ্য ও পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওযেবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে কলার খোসার নানান ব্যবহার সম্পর্কে জানানো হল।

দাঁত: কলার খোসা দিয়ে প্রতিদিন দাঁত ঘষলে এক সপ্তাহের মধ্যে দাঁত সাদা ও উজ্জ্বল হয়। নিয়মিত কলার খোসা ব্যবহার করে দাঁতের ডাক্তারের পেছনে খরচের পরিমাণ কমাতে পারেন।

ব্রণ: জ্বালাভাব কমিয়ে ব্রণ সারাতে আক্রান্ত জায়গায় কলার খোসা ঘষলে উপকার পাওয়া যায়। আর এই ফলাফল দৃশ্যমান হতে সময় নেবে মাত্র এক সপ্তাহ।

বলিরেখা: কলার খোসা ত্বক আর্দ্র ও মসৃণ রাখে। ফলে বলিরেখা কমে। ভালো ফলাফলের জন্য কলার খোসা ও ডিমের কুসুম চটকে মিশ্রণ তৈরি করে ত্বকে লাগান। পাঁচ মিনিট পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

মশার কামড়: মশার কামড়ের জ্বালা ও চুলকানি থেকে বাঁচতে সেই স্থানের উপর কলার খোসা মালিশ করুন। আরাম পাবেন।

সূর্যের কারণে হওয়া ক্ষতি: সূর্যের ক্ষতিকর বেগুনি রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে। বিশেষ করে চোখের নিচে পাতলা কোমল ত্বক। এই সমস্যা দূর করতে কলার খোসা সূর্যের আলোতে কিছুক্ষণ শুকিয়ে তারপর ত্বকে মালিশ করুন।