নব্বই দশকের আলোচিত চিত্রনায়িকা রঞ্জিতাকে জে’দ করে বিয়ে করেছিলেন ফা’ইট ডিরেক্টর ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম।
নায়িকা গ’র্ভব’তী হতেই তাকে ডিভো’র্স দিয়েছিলেন তিনি। নব্বই দশকের বাংলা সিনেমায় তখন মার্শাল আর্টের জোয়ার বইছে।
ঘটনাক্রমে একটি সিনেমার ফাইট ডিরেক্টর হিসেবে ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলমকে বাদ দেওয়া হয়। সেই সিনেমার নায়িকা ছিলেন রঞ্জিতা। গু’ঞ্জ’ন শোনা যায়, তাকে বাদ দেয়ার পেছনে রঞ্জিতার হাত রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রঞ্জিতা বলেন, ‘এফডিসির ৩নং ফ্লোরে ওই সিনেমার শু’টিং হচ্ছিল। আমি মেকআপ রুমে ছিলাম। হঠাৎ সেখানে ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম এলেন। তাকে দেখেই বুঝেছিলাম খুব রে’গে আছেন।
তিনি এসেই আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, কোন নায়িকার জন্য আমাকে ফা’ইট ডিরেক্টর থেকে বাদ দেওয়া হলো? মেকআপ রুমে সেদিন নায়ক রুবেলও ছিলেন।
রুবেল তখন বললেন, ওস্তাদ প্লিজ মেকআপটা শেষ করতে দেন। শু’টিং রানিং। কিন্তু তাতেও তিনি নরম হচ্ছিলেন না। তখন আমি বলি- হু আর ইউ? আর এতেই তিনি চরম ক্ষি’প্ত হলেন।
আমাকে গা’লি দিয়ে বলেন, এই মেয়ে আমার সঙ্গে ইংলিশ বলে! সেদিন যাওয়ার আগে তিনি বলে যান- রুবেল, আমি এই মেয়েকে একদিন বিয়ে করবো।’
‘ম’রণ ল’ড়াই’ সিনেমার মধ্য দিয়ে ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে রঞ্জিতার সম্প’র্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু এই প্রেমের পেছনে যে উদ্দেশ্য কাজ করছে সেটি বুঝতে পারেননি রঞ্জিতা।
ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম তার জেদ পূরণে রঞ্জিতাকে বিয়ে করেন। এরপর তিনি যখন গ’র্ভব’তী হন, তার চার মাস পর জাহাঙ্গীর রঞ্জিতার বাবা-মা’কে সাফ জানিয়ে দেন- ‘আমার জে’দ ছিল বিয়ে করা; করেছি।
এখন আপনাদের মেয়েকে নিয়ে যেতে পারেন।’ তারপরই তাদের ডি’ভো’র্স হয়। রঞ্জিতার দাবি, তিনি প্র’তারি’ত হয়েছেন।
চলচ্চিত্রের ক্যারিয়ার রঙিন হলেও এখন ভালো নেই রঞ্জিতা। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একমাত্র ছেলেকে নিয়ে ভাইসহ বনশ্রীতে ভাড়া বাসায় থাকেন। ২০০৫ সালে সর্বশেষ তাকে পর্দায় দেখা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, রঞ্জিতার বাবা ছিলেন নায়করাজ রাজ্জাকের বন্ধু। ১৯৮৭ সালে চলচ্চিত্রে পথচলা শুরু করেন এই নায়িকা। ‘ঢাকা-৮৬’ সিনেমায় ‘পাথরের পৃথিবীতে কাচের হৃদয়’ গানটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়।
রাজ্জাক পরিচালিত এ সিনেমায় বাপ্পারাজের বিপরীতে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন রঞ্জিতা। এরপর ২৯টি সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র প্রযোজনাও করেছেন।