ক্যান্সারসহ ৮ টি রোগ প্রতিরোধ করে- ছোট্ট গোলগাল নিরীহ চেহারার ফলটির নাম লটকন। হলুদ রঙের এই টক-মিষ্টি স্বাদের ফলটি আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। লটকন ফলকে সরাসরি খাওয়া হয় বা জ্যাম তৈরি করেও খাওয়া যায়।
লটকনের বেশ কয়েকটি নাম রয়েছে। যেমন- হাড়ফাটা, ডুবি, বুবি, কানাইজু, লটকা, লটকাউ, কিছুয়ান ইত্যাদি। তবে যে নামেই ডাকা হোক, ছোট্ট এই ফলটি কিন্তু বেশ উপকারী। এখন চলছে লটকনের মৌসুম। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় লটকন রাখতে পারেন।
আপনি জানেন কি ? টক মিষ্টি স্বাদের এই ফলটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বেশ উপকারি। আসুন জেনে নিই লটকনের গুণাগুণ সম্পর্কে।
১. লটকনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
২. লটকনে থাকা ভিটামিন সি শরীরের যেকোন ধরণের সংক্রমণ যেমন- ঠাণ্ডা-কাশি সারাতে বেশ কার্যকর।
৩. লটকনে থাকা ভিটামিন সি দাঁতের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করে।
৪. লটকনে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় এটি শরীরের রক্তশূন্যতা পূরণ করে।
৫. লটকনে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম। কলার মতো লটকন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বেশ উপকারি।
৬. লটকনে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকায় এটি হাড় গঠনে সহায়তা করে। নিয়মিত লটকন ও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খেলে হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি কমে।
৭. নিয়মিত লটকন খেলে হজমশক্তি ভাল হয়। এতে থাকা ফাইবার হজমক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৮. এছাড়া এটি কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়।
জেনে নিন পালংশাকের অসাধারণ যত স্বাস্থ্য উপকারিতা
আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মাছ, মাংসের পাশাপাশি সবজি রাখা উচিত। অনেকেই আছেন যারা পালং শাক খেতে পছন্দ করেন না। আর শাকের মধ্যে পালংশাক অন্যতম। পালং শাককে “ড. ভেজিটেবল” বলা হয়।
এই একটি শাকে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি২, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, কপার, ফসফরাসসহ অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
এক কাপ (৩০ গ্রাম) পালং শাকে রয়েছে ক্যালরি ৭, সোডিয়াম ২৩.৭ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ১৬৭.৪ মিলিগ্রাম।, কার্বোহাইড্রেইড ১.১ গ্রাম, ভিটামিন এ ৫৬%, ক্যালসিয়াম ২%, ভিটামিন সি ১৪%, আয়রন ৪%, ম্যাগনেসিয়াম ৫%, ভিটামিন বি৬ ৫% রয়েছে। এই সমস্ত পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্ম এর জন্য অপরিহার্য।
১। মস্তিষ্কের উন্নত সাধন:- পালং শাকের ফোলাইট, লুটিন এবং বিটা ক্যারটিন মস্তিষ্কের উন্নতি সাধন করে। এটি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে বেশ কার্যকর।
২।রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি:- এই সবজিতে থাকা বেশি মাত্রার ভিটামিন এ রক্তের শ্বেত কণিকার ভালো মাত্রা বজায় রাখে যা দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করার মূল উপদান। এবং তা দেহকে বিভিন্ন সংক্রমণ ও রোগ থেকে রক্ষা করে।
৩। ক্যান্সার প্রতিরোধ করে:- পালং শাকে রয়েছে ১০টিরও বেশি ভিন্ন ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েড যা ভয়ানক রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। এটি দেহের ফ্রি র্যাডিকেলকে দূর করে।
৪। দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে:- সাধারণত সবুজ শাক সবজিতে লুটেন সহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে যা দৃষ্টি শক্তির ক্ষতি বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা বন্ধ করতে সাহায্য করে। পালং শাকে রয়েছে উচ্চ মাত্রার বিটা ক্যারোটিন যা চোখের ছানি পড়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
৫। ওজন হ্রাস করতে:- পালং শাকে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিউপাদনা রয়েছে কিন্তু ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম। এটি আঁশযুক্ত হওয়ার ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৬। পেশীর শক্তি বৃদ্ধিতে:- পালং শাকে রয়েছে উচ্চ মাত্রার আয়রন যা দেহে অক্সিজেন উৎপাদনের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ভিটামিন সি ও ই কে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। এটা রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।