পায়ের গোড়ালির ব্যথায় করণীয়- গোড়ালিতে ব্যথা নিয়ে সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। চিকিৎসকের পরামর্শ তো নিতে হবেই, পাশাপাশি মেনে চলতে হবে কিছু করণীয়। চলুন জেনে নেই-
১- শক্ত স্থানে খুব বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না বা শক্ত স্থানে বেশি হাঁটাচলা করাও উচিত নয়।
২- ভারি কোনো জিনিস বহন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন- বেশি ওজনের বাজারের থলে, পানিভর্তি বালতি ইত্যাদি বহন করা যাবে না।
৩- সব সময় নরম জুতা ব্যবহার করতে হবে। হাঁটাচলার সময় হিল কুশন ব্যবহার করবেন।
৪- সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা করার সময় মেরুদণ্ড সোজা রেখে হাতে সাপোর্ট দিয়ে ধীরে ধীরে উঠবেন ও নামবেন এবং যথাসম্ভব গোড়ালির ব্যবহার কম করবেন।
৫- ব্যথা থাকা অবস্থায় কোনো ধরনের ব্যায়াম করা যাবে না। হাইহিল জুতা পরা যাবে না।
৬- মোটা ব্যক্তিদের ওজন কমাতে হবে এবং সব সময় ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
দুটি ঘরোয়া উপায়ে কমিয়ে আনুন মেছতা….
মেছতা বা ম্যালাজমা ত্বকের বেশ প্রচলিত সমস্যা। মেছতা ত্বকের প্রাকৃতিক রঙের ওপর প্রভাব ফেলে এবং এটি বাদামি রঙের প্যাঁচের মতো হয়।
ত্বকের কোষে অতিরিক্ত মেলানিন উৎপাদনের কারণে মেছতা হয়। অতিরিক্ত সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসা, মানসিক চাপ, থাইরয়েডের সমস্যা, হরমোনের সমস্যা ইত্যাদি কারণে মেছতা হতে পারে। মেছতা কমানোর দুই ঘরোয়া উপায় জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমেডি।
লেবুর জুস- লেবু প্রাকৃতিকভাবে ত্বক উজ্জ্বল করে। কারণ, এতে রয়েছে অ্যাসট্রিজেন্ট উপাদান। লেবুর জুসের মধ্যে থাকা এসিডিক উপাদান ত্বকের হাইপারপিগমেন্টেশন লেয়ার দূর করতে উপকার করে।
১. একটি লেবু থেকে রস নিন।
২. আক্রান্ত স্থানে রস লাগিয়ে এক থেকে দুই মিনিট ধীরে ধীরে ঘষুন।
৩. ২০ মিনিট এভাবে রাখার পর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৪. প্রতিদিন দুই বেলা এই ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। তিন সপ্তাহের মধ্যে ভালো ফলাফল দেখতে পাবেন।
হলুদ- হলুদ ত্বকের মেলানিন কমিয়ে মেছতা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। হলুদের মধ্যে রয়েছে ত্বক উজ্জ্বল করার উপাদান।
১. পাঁচ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ার মধ্যে ১০ টেবিল চামচ দুধ মিশিয়ে পেস্ট করুন। দুধের মধ্যে রয়েছে ল্যাকটিস এসিড ও ক্যালসিয়াম। এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বককে নরম করতে কাজ করে।
২. এর মধ্যে এক টেবিল চামচ ময়দা মেশাতে পারেন।
৩. এর পর আক্রান্ত স্থানে পেস্টটি লাগান।
৪. ২০ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৫. ভালো ফলাফলের জন্য প্রতিদিন এ পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
পাঁচ উপায়ে যত্ন নিন স্পর্শ কাতর ত্বকের….
আপনার ত্বক কি একটুতেই আক্রান্ত হয়ে পড়ে? আপনি খুব সতর্ক থাকার পরও কি ত্বকে সমস্যা হয়? তাহলে আপনার ত্বকটি স্পর্শ কাতর। স্পর্শ কাতর বা সংবেদনশীল ত্বকে বেশ দ্রুত সমস্যা তৈরি হয়। তাই এর যত্নে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। সংবেদনশীল ত্বকের যত্নে কিছু বিষয় জানিয়েছে জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই।
১- হালকা গরম অথবা ঠাণ্ডা পানি
বেশি গরম পানিতে এ ধরনের ত্বকে স্পর্শ কাতরতা তৈরি হয়। গরম পানি দিয়ে গোসল যতই আরামদায়ক হোক না কেন, এ ধরনের ত্বকে সাধারণত গরম পানি ব্যবহার করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে, ইরিটেশন তৈরি হয়। তাই স্পর্শকাতর ত্বকে ঠাণ্ডা অথবা হালকা গরম পানি ব্যবহার করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
২- মৃ’ত’কোষ বেশি দূর করবেন না
নিয়মিত ত্বকের মৃ ত কোষ দূর করা ত্বকের জন্য ভালো। তবে স্পর্শ কাতর ত্বকে খুব বেশি মৃ ত কোষ দূর করতে যাবেন না। এতে ত্বক খসখসে হয়ে ওঠতে পারে।
৩- ময়েশ্চারাইজার
স্পর্শ কাতর ত্বকের অন্যতম কারণ শুষ্ক ত্বক। স্পর্শ কাতর ত্বককে আর্দ্র রাখা খুব জরুরি। তাই এ ধরনের ত্বক ভালো রাখতে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
এ ছাড়া অ্যালোভেরা, জোজোবা ওয়েল, নারকেল তেল ইত্যাদি ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
৪- সানস্ক্রিন দিতে ভুলবেন না
সূর্যের অতি বেগুণি রস্মি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই এটি থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখা জরুরি। তাই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। তবে এ ক্ষেত্রে এমন সানক্রিন ব্যবহার করবেন, যেটি ত্বকে ইরিটেশন তৈরি করবে না।
৫- এসিড সমৃদ্ধ পণ্য
দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করা হয়, এমন অনেক পণ্যের মধ্যেই এসিড রয়েছে। এমনকি অনেক সাবান, ফেসিয়াল ক্লিনজারও এসিড সমৃদ্ধ। এগুলো অনেক সময় ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করে। তবে স্পর্শ কাতর ত্বক হলে একটু সতর্ক হওয়ার দরকার রয়েছে বৈকি।
যেসব পণ্যে এসিড রয়েছে এ ধরনের পণ্য স্পর্শ কাতর ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। আলফা হাইড্রোক্সি এসিড, বেটা হাইড্রোক্সি এসিড, অ্যাসকোরবিক এসিড, কজিক এসিডসমৃদ্ধ পণ্য এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।