সকালে কাঠ বাদাম খান- ছোট একটা খাবার, কিন্তু এত গুণ ! বলছি কাঠ বাদামের গুণের কথা। এই এক বাদাম আপনাকে যে পরিমাণ উপকার করবে জানলে অবাক হবেন আপনি।
প্রচুর পরিমাণ নিউট্রিশনে ভরপুর এই কাঠ বাদাম আপনাকে করে তুলতে পারে লাবণ্যময়ী। এ ছাড়া কাঠ মাদামে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও পটাশিয়াম। প্রতিদিন সকালে দুটো করে কাঠ বাদাম যদি নাস্তার তালিকায় রাখেন, ফলাফল আপনি নিজেই পাবেন।
• কাঠ বাদামের সবথেকে শক্তিশালী গুণ হল, মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতেও এটি দক্ষ। ভিটামিন ই এবং পটাশিয়াম থাকার ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে কাঠ বাদাম।
• সকাল বেলা উঠেই দুটো কাঠ বাদাম খেয়ে নিলেই তরতাজা থাকা যায়। এনার্জি লেভেল ঠিক রাখতে রোজ কাঠ বাদাম খাওয়া উচিত।
• ভিটামিন ই, এ, বি১, বি৬ থাকার ফলে চুলও ভাল রাখে কাঠ বাদাম। ম্যাগনেশিয়ামের জন্য চুল গোড়া থেকে সুস্থ থাকে ও তাড়াতাড়ি বাড়ে।
• খিদে পেলে অল্প করে কাঠ বাদাম খেয়ে নিন। এতে খিদে যাবে। কিন্তু ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণেই। প্রোটিন যুক্ত এই বাদাম খেলে সুগার লেভেলও ঠিক থাকবে। তাই মাত্রাতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছেও থাকে না ২-৩ টে কাঠ বাদাম খেয়ে নিলে। আর তাই ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে।
• কাঠ বাদামে রয়েছে ভিটামিন ই। ভিটামিন ই ত্বক সুন্দর রাখে আর মুখে বয়সের ছাপ পড়ে না।
• কোলেস্টেরল লেভেলও ঠিক রাখতে পারে কাঠ বাদাম। এর মধ্যে থাকে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, প্রোটিন। যার ফলে হার্টকেও সুস্থ রাখে কাঠ বাদাম।
• হজমের জন্যও কাঠ বাদামের জুড়ি মেলা ভার। এতে যে ফাইবার থাকে, তা হজম শক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
খালি পেটে ৪ দিন কিশমিশের পানি খান, তারপর দেখুন চমক
কিশমিশের পানি খেলে লিভারে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। যার দরুন শরীরের অভ্যন্তরে দ্রুত র ক্ত পরিশোধন হতে থাকে। আপনার লিভার বা যকৃত পরিষ্কার করতেও কিশমিশের জুরি নেই? হ্যাঁ, নিয়মিত কিশমিশের পানি লিভার সাফ হয়।
অন্তত টানা চার দিন কিশমিশের পানি পান করলে, পেট একদম পরিষ্কার হয়ে যাবে। পেটের গন্ডগোল থাকবে না। সেই সঙ্গে ভরপুর এনার্জি পাবেন। রক্তস্বল্পতায় কিশমিশ যে উপকারী, সেটা অনেকেই জানেন। কারণ, কিশমিশ শরীরে নতুন রক্ত তৈরি করে।
কিন্তু, এটা জানা আছে কি, আপনার লিভার বা যকৃত্ পরিষ্কার করতেও কিশমিশের জুরি নেই? হ্যাঁ, নিয়মিত কিশমিশের পানি লিভার সাফ হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কিশমিশের পানি খেলে লিভারে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। যার দরুন শরীরের অভ্যন্তরে দ্রুত রক্ত পরিশোধন হতে থাকে।
অন্তত টানা চার দিন কিশমিশের পানি পান করলে, পেট একদম পরিষ্কার হয়ে যাবে। পেটের গন্ডগোল থাকবে না। সেই সঙ্গে ভরপুর এনার্জি পাবেন। অনেক ডাক্তারও রোগীকে ওষুধের পাশাপাশি কিশমিশ প্রেসক্রাইব করেন। কারণ, কিশমিশ হার্টকে ভালো রাখে। সেইসঙ্গে শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক যে কোলেস্টেরল রয়েছে, তা দূর করে।
কিশমিশে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল। কিশমিশ না-খেয়ে শুধু কিশমিশের পানি খেলেও সেই ভিটামিন ও মিনারেল শরীরে ঢোকে। পানিতে ভেজানোর আর একটা কারণ শর্করার মাত্রা কমে। রক্ত পরিষ্কার করতে কিডনির পাশাপাশি লিভারকেও ভালোভাবে কাজ করতে হবে। তাই লিভার ও কিডনির সমস্যা হলে, ক্ষতিকারক পদার্থ শরীরে জমতে শুরু করে আমাদের অসুস্থ করে তোলে।
তাই লিভার ও কিডনিকে সবসময় চাঙ্গা রাখতে হবে। কিশমিশ ভেজানো পানি সেই কাজটাই ভালোভাবে করে। যার দরুণ হজমশক্তিও বাড়ে।
যে ভাবে কিশমিশের পানি তৈরি করবেনঃ
২ কাপ পানি (৪০০ এমএল) ও ১৫০ গ্রাম কিশমিশ লাগবে। কী ধরনের কিশমিশ কিনছেন, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। খুব চকচক করছে, এমন কিশমিশ কিনবেন না। তাতে কেমিক্যাল মেশানো থাকে। চেষ্টা করুন গাঢ় রঙের কিশমিশ কিনতে।
তা-ও এমন কিশমিশ নিতে হবে, যা খুব শক্তও না আবার একদম নরম তুলতুলেও না। কিশমিশগুলোকে ভালো করে কয়েক বার ধুয়ে নিন। এরপর একটি পাত্রে দু-কাপ পানি দিয়ে রাতভর কিশমিশ ভিজিয়ে রাখুন।
সকালে কিশমিশ ছেকে নিয়ে, সেই পানিটা হালকা গরম করে সকালে খালি পেটে খেয়ে নিন। ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট অন্য কিছু খাবেন না।