বাংলাদেশকে তিস্তার জল দিতে না পারায়- ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিস্তার জল দিতে না পারায় ইলিশ দেওয়া বন্ধ করেছে বাংলাদেশ। আজ ২ জুলাই, মঙ্গলবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বিধায়ক রহিমা বিবির এক প্রশ্নের উত্তরে এ আক্ষেপের কথা জানান তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালি মাছে-ভাতে থাকতে ভালোবাসে। কিন্তু বাংলাদেশকে আমরা তিস্তার জল দিতে পারিনি। তাই ওরা আমাদের ইলিশ মাছ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ওরা আমাদের বন্ধু দেশ। কিন্তু জল নেই তো কোথা থেকে দেব?’ জি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্য কয়েক বছরের মধ্যেই মাছ উৎপাদনে স্বনির্ভর হবে বলে বিধানসভায় আশ্বস্ত করেন মমতা।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইলিশ মাছ নিয়ে রিসার্চ সেন্টার করেছি। আমাদের বাংলায় এখন ইলিশ মাছের অভাব নেই। আগামী দিনে রিসার্চ শেষ হলে গোটা দেশে আমরা ইলিশ সরবরাহ করতে পারব। দু-এক বছরের মধ্যে আর বাইরে থেকে আনতে হবে না মাছ।’
সুত্র-বি ডি মর্নিং।
মোদি চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গেরুয়া তা.. ণ্ড.. ব বন্ধ করতে পারেন: কামরুজ্জামান
ভারতের ‘সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন’র সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ কামরুজ্জামান বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গসহ গোটা দেশজুড়ে গেরুয়া তা.. ণ্ড..বে গণপি.. টু. নিতে যেভাবে একের পর এক মুসলিম যুবকরা প্রাণ হারাচ্ছে তা অত্যন্ত উদ্বেগের। আজ (মঙ্গলবার) রেডিও তেহরানকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি ওই মন্তব্য করেন।
কামরুজ্জামান বলেন, ‘এ সকল ঘটনায় সব থেকে বড় দোষীদের গ্রেফতার করার পরিবর্তে, তাদের শাস্তি দেয়ার পরিবর্তে পুলিশ-প্রশাসন, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার তারা যেভাবে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে তাতে এক শ্রেণির গেরুয়াধারীদের ঔদ্ধত্য দিনের পর দিন বাড়ছে। আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন যে, পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলায় সানাউল শেখকে যে ভাবে মোটর সাইকেল চুরির অপবাদ দিয়ে হ.. ত্যা করা হল, তা ঝাড়খণ্ডের তাবরেজ আনসারীর হত্যার মতোই।
একই স্টাইলে আরএসএস বিভিন্ন জায়গায় মুসলিম যুবকদের হ.. ত্যা করার পরিকল্পনা নিয়েছে এবং বিশেষকরে ধর্মপ্রাণ মুসলিম যুবকদের সর্বত্র বাসে, ট্রেনে হে.. ন.. স্থা করা হচ্ছে তারপরেও আমরা একের পর এক দেখতে পাচ্ছি যে, প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ নয়, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আজ থেকে পনের দিন আগে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ক্যানিং লোকাল ট্রেনে হাফেজ শাহরুখ হালদারকে আ.. ক্র.. মণ করা হল, তার ভাইরাল ভিডিও প্রকাশ হল, কিন্তু তারপরেও অপরাধীদের পুলিশ এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করল না! এই বিষয়ে মুসলিমরা যেমন প্রশসানের কাছ থেকে কোনও সহযোগিতা পাচ্ছে না, আত্মীয়-স্বজনকে হারানোর পরেও পরিবারের মানুষ সুবিচার পাচ্ছে না।
এরপরে মুসলিমদের কাছে চাওয়ার দ্বিতীয় কোনও জায়গা নেই। ফলে আমরা যদি দেখি যে, পুলিশ প্রশাসন অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে এবং তারা মুসলিম ভাইদেরকে যথাযথ সু-বিচার দিতে ব্যর্থ হচ্ছে তাহলে আমাদের বৃহত্তর প্রতিবাদের পথে যাওয়া ছাড়া বিকল্প কোনও রাস্তা থাকবে না। আমি আশা করব মুসলিম যুবক, মুসলিম সমাজকে আইন হাতে তুলে নিতে সরকার ও প্রশাসন বাধ্য করবেন না।’
মুহাম্মাদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চাইলে তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশজুড়ে যে গেরুয়া তা.. ণ্ড.. ব চলছে তা বন্ধ করতে পারেন। যখন একের পর এক তরুণ ও যুবকরা প্রাণ হারাচ্ছেন গেরুয়া বাহিনীর হাতে তখন নরেন্দ্র মোদি ‘মন কি বাত’ (রেডিওতে মনের কথা) অনুষ্ঠানে তার জয়-পরাজয়ের কাহিনী মানুষকে শোনাচ্ছেন।
তার মনের মধ্যে এদেশের সংখ্যালঘু যুব সমাজের কোনও স্থান পাচ্ছে না! এটা ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ দেশের প্রধানমন্ত্রীর ‘রাজধর্ম’ হতে পারে না। এটা তার ‘মুখোশ পরা নীতি’ ছাড়া অন্য কিছু নয়। আমরা আশা করব যে দেশের সুশীল সমাজ এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হবেন এবং একটা বড়সড় পরিবর্তন নিয়ে আসতে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা সমর্থ হবো।’
এ ব্যাপারে মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশপাশি ‘ধর্ম নিরপেক্ষ’ সংখ্যাগরিষ্ঠ সমাজের মানুষও এর প্রতিবাদে এগিয়ে আসবেন এবং দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তি রক্ষায় সহায়ক হবেন বলেও মুহাম্মাদ কামরুজ্জামান আশাপ্রকাশ করেছেন।