মৃ.. ত্যু র একদিন আগে ক্যান্সার আক্রান্ত প্রেমিককে বিয়ে

1812

প্রচণ্ড ভালোবাসতেন দু’জন দু’জনকে। আর সে কারণেই ভালোবাসার মানুষকে হারাতে চাননি। তাই মৃ.. ত্যু নিশ্চিত জেনেও প্রেমিককেই বিয়ে করলেন অস্ট্রেলিয়ার এক তরুণী।

ওই তরুণীর প্রেমিক নাভার অস্ট্রেলিয়ার এক জনপ্রিয় রাগবি খেলোয়াড়। ২২ বছর বয়সেই নাভার আক্রান্ত হন ব্রেন টিউমারে। তার বেঁচে থাকার কোন সম্ভাবনাই ছিল না।

নাভারের সঙ্গে বহু সময় ধরে প্রেম ছিল মাইয়া নামের এক তরুণীর। প্রেমিক নাভারের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে খুবই ভেঙে পড়েছিলেন মাইয়া। তবে পড়ে নিজেকে সামলে নেন তিনি।

একেবারে শেষ পর্যায়ে গিয়ে নাভারের এই ক্যান্সার ধরা পড়েছিল। সে কারণে চিকিৎসা করেও কোন ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছিল। চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, নাভার আর বেশিদিন বাঁচবেন না।

তাই আর দেরি করেননি প্রেমিকা মাইয়া। তারা তো জানতেন না যে নাভারের হাতে আর কতদিন সময় আছে। তবুও অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই বিয়ে করে ফেললেন তারা। কিন্তু সেটাই ছিল নাভারের মৃ..ত্যুর ঠিক একদিন আগের ঘটনা। সাদা গাউনে বধূ সেজে, বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে মাইয়া নাভারকে বিয়ে করেন।

সব রীতি-নীতি মেনেই তাদের বিয়ে হয়েছে। আর বিয়ের ঠিক পরের দিন রাতেই মারা যান নাভার। বিয়ের আগে থেকে বহুদিন ধরেই একসঙ্গে ছিলেন এই দু’জন। নাভার ও মাইয়ার একটি সন্তানও আছে। তার বয়স ১১ বছর।

রানওয়ে থেকে ছিটকে গেল বিমান….

মুম্বাইয়ের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোমবার রাতে বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল স্পাইস জেটের একটি বিমান। ওই বিমানটি জয়পুর থেকে মুম্বাইয়ে ফিরছিল।

বিমানবন্দরে অবতরণের সময় হঠাৎ রানওয়ের ওপর পিছলে যায় বিমানের চাকা। এরপরই বিমানটি রানওয়ে থেকে কিছু দূরে ছিটকে পড়ে। তবে এই ঘটনায় বিমানের আরোহীদের কারো কোন ক্ষতি হয়নি। বিমানের সব আরোহীই সুস্থ ছিলেন।

প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে রানওয়ে পিচ্ছিল হয়ে থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ওই দুর্ঘটনার পর ইতোমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মুম্বাই বিমানবন্দরের প্রধান রানওয়ে।

বিমানের বেশ কিছু ফ্লাইটের সময়ও পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। বেশ কিছু বিমানকে মুম্বাই বিমানবন্দরে না নামিয়ে অনত্র নামানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি ফ্লাইটও বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছেন নোবেল

ভারতের জি বাংলার গানবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‌‌‘সা রে গা মা পা’র এবারের আসরে প্রীতমের সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় রানারআপ অর্থাৎ তৃতীয় হয়েছেন মাঈনুল আহসান নোবেল। চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন অঙ্কিতা। দর্কদের ভোটে তিনি প্রথম হলেও বিচারকরা মনে করছেন তিনি তৃতীয় হওয়ার যোগ্য। গত শনিবার কলকাতার বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে এই প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়। পর্বটি জি বাংলায় দর্শক দেখতে পাবেন ২৮ জুলাই রাতে।
‌‌
‘সা রে গা মা পা’ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ভারতের কলকাতা আর বাংলাদেশে দারুণ পরিচিতি এবং জনপ্রিয়তা পেয়েছেন মাঈনুল আহসান নোবেল। তাঁকে বলা হয় ‘বিস্ময় বালক’। এই বিশেষণটি বেশির ভাগ সময়ই এসেছে প্রতিযোগিতার বিচারকদের কাছ থেকে। তবে তাঁদের উচ্ছ্বাস এবং দর্শকের ভোটে এগিয়ে থাকলেও গানের প্রতিযোগিতায় শেষ পর্যন্ত প্রথম হতে পারেননি এই তারকা। তাঁকে তৃতীয় হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।

গত শনিবার রাতে ‘সা রে গা মা পা’র গ্র্যান্ড ফিনালেতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এরপর অনুষ্ঠানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায়। যেখানে দেখা যায়, প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন অঙ্কিতার হাতে গাড়ির চাবি তুলে দেওয়া হচ্ছে। পুরস্কার হাতে পাশে দাঁড়িয়েছে আছেন প্রথম রানারআপ গৌরব সরকার ও স্নিগ্ধজিৎ। তাঁদের পেছনে নোবেল ও প্রীতম। এরপর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, এবার ‘সা রে গা মা পা’য় প্রথম হয়েছেন অঙ্কিতা। যৌথভাবে ১ম রানারআপ গৌরব ও স্নিগ্ধজিৎ, আর ২য় রানারআপ হয়েছেন প্রীতম ও মাঈনুল আহসান নোবেল।

গত বছর সেপ্টেম্বরে জি বাংলায় শুরু হয় ‘সা রে গা মা পা ২০১৮-১৯’ প্রতিযোগিতা। ভারত থেকে নির্বাচিত ৪৮ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে অংশ নেন অবন্তি সিঁথি, তানজীম শরীফ, রোমানা ইতি, মেজবা বাপ্পী, আতিয়া আনিসা, মন্টি সিনহা ও মাঈনুল আহসান নোবেল। বাকিরা নানা ধাপে ছিটকে গেলেও গোপালগঞ্জের নোবেল জায়গা করে নেন চূড়ান্তপর্বে।

পুরো আয়োজনে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন শ্রীকান্ত আচার্য, শান্তনু মৈত্র ও মোনালি ঠাকুর।