যে সব খাবার ডেঙ্গু জ্বরের- গত কয়েকদিনে রাজধানীতে মহামারির রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু। ছোট শিশু থেকে বৃদ্ধ অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন ডেঙ্গু জ্বরে। সবার মধ্যে আ ত ঙ্ক ডেঙ্গু নিয়ে।
ইতিপূর্বে দেশে বিভিন্ন সময় ডেঙ্গু রোগ দেখা গেলেও এবারের মতো ভয়াবহ ছিল না। এবার যেমন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তেমনি মৃ ত্যু র সংখ্যাও বাড়ছে।
এমন পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু আ ত ঙ্ক বিরাজ করছে দেশের সর্বত্র। সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১৪ জনের মৃ ত্যু র খবর নিশ্চিত করা হলেও বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা অর্ধশত ছাড়িয়ে গেছে।
প্রকোপ বাড়ার পাশাপাশি পরিবর্তন হয়েছে ডেঙ্গুর ধরন ও লক্ষণের। আগে ডেঙ্গু হলে জ্বর অনেক বেশি জ্বর হতো। তবে এখন তেমনটি হচ্ছে না। এছাড়া কিছু নতুন লক্ষণ দেখা দিয়েছে। তবে ডেঙ্গুজ্বরে আ ক্রা ন্ত হওয়ার পর কিছু খাবার রয়েছে যা খেলে আপনার জ্বর সারাতে ভালো কাজ করবে। জ্বরে রোগীর খাবার হতে হবে তরল ও সহজপাচ্য।
আসুন জেনে নেই জ্বরে যেসব খাবার খাবেন:
১. ডেঙ্গুজ্বরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে শরীরে যে পানিশূণ্যতা না হয়। এ সময় দেহে পানির সমতা বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত পানি ও ভিটামিন সি জাতীয় ফলের শরবত খেতে হবে। এ সব খাবার শরীরে দূষিত বর্জ্য পদার্থ বের করে শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখে।
২. ডাব রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস এবং আয়রন রয়েছে। দেহের স্নায়বিক জটিলতা, অন্ত্রের তারল্য ও কোষের জলীয় শোষণের সমতা বজায় রাখে ডাব। তাই ডেঙ্গুজ্বরে ডাব খুবই উপকারি।
৩. লেবু, পেয়ারা, আনারস, কমলায় যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’, খনিজ লবণ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এসব খাবার মানবদেহে কোলাজন তৈরিতে , রোগ প্রতিরোধ ও ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। তাই ডেঙ্গু রোগীতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই ফলের রস রাখা উচিত।
৪. আমলকী ও বেদানায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটিও রক্তে প্লাটিলেট বাড়াতে সাহায্য করে।
৫. মিষ্টি কুমড়ায় থাকা ভিটামিন ‘এ’ রক্তে প্লাটিলেট তৈরিতে সাহায্যে করে। তাই ডেঙ্গু রোগীর রক্তে প্লাটিলেট কমে গেলে মিষ্টি কুমড়া খেতে পারে।
৬. লেবুর রসে থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ বাড়ায়। এছাড়া শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
৭. রক্তের যে কোনো সংক্রমণ দূর করতেও অ্যালোভেরা খুবই উপকারি। নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস পান করলে রক্তের প্লাটিলেট বাড়ে।
৮. ডালিম ফল আমাদের অনেকের প্রিয়। এই ফলে প্রচুর আয়রন রয়েছে। যা রক্তে প্লাটিলেট বাড়াতে খুবই ভালো কাজ করে।
বয়স অনুযায়ী কতটুকু ঘুমাবেন ?
ঘুম মানুষের অতি প্রয়োজনীয় জৈবিক চাহিদাগুলোর মধ্যে একটি। ঘুম সঠিকভাবে না হলে দেহের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গে এর খারাপ প্রভাব দেখা যায়। অনিদ্রার সমস্যার কারণে মস্তিষ্ক, দেহের নার্ভ, কার্ডিভ্যস্কুলার সিস্টেম, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, হার্ট, হজম প্রক্রিয়া, শ্বাস প্রশ্বাস নেয়ার মতো সকল জরুরী কার্যকলাপ ব্যহত হয়।
আবার বেশি ঘুমের কারণেও নানা সমস্যা দেহে বাসা বাঁধে। তাই একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের সঠিক পরিমাণে ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু কীভাবে বুঝবেন আপনার কতোটা সময়ের ঘুম প্রয়োজন? ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন মানুষের বয়স ভেদে কতোটা ঘুমের প্রয়োজন সে ব্যাপারে একটি তালিকা প্রকাশ করে।
তাহলে জেনে নিন আপনার বয়স অনুযায়ী ঠিক কতোটা সময়ের ঘুম আপনার দেহের সুস্থতার জন্য জরুরী।
যে পরিমাণ সময় ঘুমাবেন নিম্নে দেয়া হলো:
০-৩ মাস বয়েসি শিশু: একেবারে নতুন জন্মানো বাচ্চাদের অনেক বেশি ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। তাই এই বয়সের শিশুদের ১৪-১৭ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন।
৪-১১ মাস বয়েসি শিশু: ৩ মাসের পর শিশুদের ঘুমের চাদিহা কিছুটা কমে আসে। তাই এই বয়সের শিশুদের ১২-১৫ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
১-২ বছরের শিশু: বাচ্চারা বড় হতে থাকলে ধীরে ধীরে ঘুম কমিয়ে দেয়া প্রয়োজন। এই বয়েসি শিশুদের সেকারণে ১১-১৪ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে।
৩-৫ বছরের বাচ্চা: এই সময়টা থেকেই মূলত বাচ্চারা স্কুলের সাথে পরিচিত হয়। এবং দৈনন্দিন কার্যকলাপের সাথে সাথে ঘুম তাও ঠিকমতো হওয়া প্রয়োজন। এই বয়েসি বাচ্চাদের ১১-১৩ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে।
৬-১৩ বছরের বাচ্চা: ৬-১৩ বছরের বাচ্চাদের জন্য ৯-১১ ঘণ্টা ঘুম খুব জরুরী। এতে করে মানসিক বিকাশেও বিশেষ ভাবে ভূমিকা রাখে ঘুম।
১৪-১৭ বছরের কিশোর কিশোরী: দৈনন্দিন জীবন যাপনের পাশপাশি কিশোর বয়সে ঘুমের ঘাটতি পড়ে যায় অনেক। কিন্তু সবকিছু ঠিক রাখতে চাইলে ঘুমেরও প্রয়োজন রয়েছে। তাই এই বয়েসি কিশোর কিশোরীর ৮-১০ ঘন্তাআ ঘুমানো উচিত।
১৮-২৫ বছরের তরুণ তরুণী: মানুষের বয়স যতোটা বাড়তে থাকে ততোই কাজের চাপ বাড়ে। আর সেই কাজের চাপের ঘুমের সময় কমে আসে। কিন্তু নিজের জন্য কতোটা ঘুমের প্রয়োজন তা ভুলে গেলে চলবে না। এতে করে দেহে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। এই বয়েসে প্রায় ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে সবারই।
২৬-৬৪ বছর বয়েসি নারী পুরুষ: তরুণ বয়সের চাইতেও এই বয়সে এসে ঘুম কমে যায় সকলের। কিন্তু শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে চাইলে আগের মতোই ঘুমের পরিমাণ সঠিক রাখতে হবে। এই বয়সেও প্রায় ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে সকলের।
৬৫ থেকে ঊর্ধ্বে বয়সের নারী পুরুষ: বয়স একটু বেশি হয়ে গেলে কাজের চাপ কমে যায় ঠিকই কিন্তু ঘুমও সেই সাথে কমে যায়। বয়স্ক মানুষ অনেকটা সময় ঘুমিয়ে থাকতে পারেন না এবং রাতে ভালো ঘুম হয় না সে ব্যাপারটি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন? কিন্তু তারপরও ৬৫ থেকে ঊর্ধ্ব বয়সি সকলের কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর প্রয়োজন রয়েছে।