পার্টির পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি নেই – বৈশ্বিক ম’হা’মা’রি করোনাভাইরাসে ল’ণ্ডভ’ণ্ড হয়ে গেছে গোটা বিশ্ব। এই ভা’ইরাসে বিশ্বব্যাপী প্রতিনিয়ত বাড়ছে মৃ’ত ও আ’ক্রা’ন্তের সংখ্যা। ফলে দেশের জনগণকে এই ম’হা’মা’রি থেকে বাঁ’চা’তে পুনরায় চিকি’ৎসা পেশায় ফিরেছেন আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডা. লিও ভারাদকার।
ম’হা’মা’রি এই সং’কটের এই মুহূর্তে প্রতি সপ্তাহে তিনি এক শিফটে করোনা রো’গীদের চিকি’ৎসাসেবা দেওয়ার কাজ করবেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজ থেকে তিনি জেনারেল ফিজিসিয়ান হিসেবে উত্তীর্ণ হন। তারপর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের পেছনে সময় দিতে গিয়ে ২০১৩ সালে তিনি আইরিশ মেডি’কেল কাউন্সিল রেজিস্টার থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন। ২০১৭ সালে তিনি ফাইন গায়েল রাজনৈতিক দলের নেতা নির্বাচনে জয়লাভ করেন।
কোভিড-১৯ সং’ক্র’মণের মুখে চিকি’ৎসক পেশায় ফিরে যেতে লিও ভারাদকারের কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে ফাইন গায়েল। পার্টির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, চিকি’ৎসক হিসেবে এই সং’ক’টের মুহুর্তে তিনি স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের সামান্য সহযোগিতা করতে চেয়েছেন, পার্টির পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো আপত্তি নেই।
করোনা’ভা’ইরাস প্রতিরো’ধে এবং এই দু’র্যো’গ মোকা’বিলায় গত মাসে আইরিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিমন হ্যারিস দেশটির স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জন্য একটি নিয়োগ প্রক্রিয়ার শুরু করেন। তিনি অভিজ্ঞ স্বাস্থ্য কর্মীদের তাতে অংশ নিতে একটি বার্তা দেন। বার্তাটি হলো, ‘তোমার দেশের এখন তোমাকে প্রয়োজন।’
দেশটির স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ জানিয়েছে, এমন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর দেশের ৭০ হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী তাদের কাজে পুনরায় ফেরত আসার জন্য নাম নিবন্ধিত করেছেন। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী ভারাদকার ইতোমধ্যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রো’গীদের চিকি’ৎসা সেবা দিতে শুরু করেছেন।
করোনার ভ’য়ানক একটি ঘ’টনা জা’নালেন বিজ্ঞানীরা!
করো’না ভা’ইরাসের ভ’য়ানক একটি ঘ’টনা জা’নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন একটি গবেষণায় বিজ্ঞানীরা বলেছেন, করো’না ভা’ইরাসের উ’পসর্গগুলো চলে যাওয়ার পরও ভা’ইরাসটি চোখে থেকে যেতে পারে।
ইতালির গবেষকরা এমন একজন করো’না রো’গীর কেস স্টাডি প্র’কাশ ক’রেছেন, যার নাক থেকে ভা’ইরাসটি চলে যাওয়ার পরও তার চোখে ভা’ইরাসের সংক্রামক কণা বিদ্যমান ছিল। চোখে করো’না ভা’ইরাস দীর্ঘদিন থাকতে পারে বলে এই গবেষণায় সত’র্ক করেছে।
গবেষকরা জা’নিয়েছেন, ৬৫ বছর বয়সি এক নারী জানুয়ারিতে উহান থেকে ইতালি এসেছিলেন এবং পাঁচ দিন পর তার শ’রীরে করো’না র লক্ষণ দেখা দেয়। একদিন পর তিনি হাসপাতালে ভর্তি হোন এবং পরীক্ষার রিপোর্টে করো’না পজেটিভ আসে।
হাসপাতালে তৃতীয় দিনে চিকি’ৎসকরা তার চোখ থেকে নমুনা নেন এবং আবিষ্কার করেন, তার চোখে করো’না ভা’ইরাসের জিনগত উপাদান রয়েছে।
চিকিত্সকরা প্রতিদিন তার চোখ থেকে নমুনা সংগ্রহ অব্যা’হত রাখেন এবং দীর্ঘ ২১ দিন পর্যন্ত ভা’ইরাসটির উপ’স্থিতি দে’খতে পান। তার পরের কিছুদিন চোখ ও নাকের নমুনায় ভা’ইরাসটির উপ’স্থিতি দেখা যায়নি। কিন্তু ২৭তম দিনে আবারও কেবল চোখের নমুনার মধ্যে করো’না ভা’ইরাস ধ’রা প’ড়ে।
উদ্বেগজনক ব্যাপার হলো, চোখের নমুনা গবেষণাগারে নিয়ে পরীক্ষা করে দেখা যায়, ভা’ইরাসটি তখনো সংক্রামক ছিল।
অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিনে প্র’কাশিত এই কেস স্টাডিতে ডা. ফ্রান্সেসকা কোলাভিটার নেতৃত্বে গবেষকরা লি’খেছেন: ‘নাকের নমুনায় সার্স-কোভ-২ ভা’ইরাসের আরএনএ শনা’ক্ত না হওয়ার কিছুদিন পর তা চোখের নমুনায় পাওয়া গিয়েছিল। আম’রা দেখেছি, সার্স-কোভ-২ সংক্রামিত রো’গীদের চোখের তরলে সংক্রামক ভা’ইরাস থেকে যেতে পারে। তাই এটি সংক্র’মণ ের সম্ভাব্য উত্স হতে পারে।’
গবেষকদের মতে, এই গবেষণা রো’গ প্র’তিরো’ধ ব্যব’স্থা যেমন নাক, মুখ এবং চোখের স্প’র্শ এড়ানো এবং ঘন ঘন হাত ধোয়ার গু’রুত্ব তুলে ধ’রেছে।
কেস স্টাডিতে গবেষকরা আরো জা’নিয়েছেন, করোনভা’ইরাসযুক্ত প্রায় ১ থেকে ৩ শতাংশ রো’গীর চোখ লাল হওয়ার উ’পসর্গ দেখা দেয়। সংক্রামিত ব্য’ক্তির চোখের তরল স্প’র্শ করে বা তরল বহনকারী বস্তুগুলো থেকে ভা’ইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।