লিফটের ভেতরে আয়না থাকে কেন ? জানলে অবাক হবেন

4550

শ্বেতা প্রতিদিন সকালে বাড়ি থেকে তৈরি হয়ে অফিসে যাওয়ার সময় লিফটে উঠেই প্রথমে দেখে নেয়, সাজটা ঠিক আছে কিনা, ড্রেসটা মানিয়েছে তো, এরপর অফিসে এসেও সাত তলায় লিফটে ওঠার সময়ও আয়নায় নিজেকে দেখতেই সময় শেষ।  

প্রায় সব লিফটেই আয়না দেয়া থাকে।এটা কি শুধু সাজ-গোজ আর শাড়ির ভাঁজ ঠিক করতেই দেওয়া হয়, নাকি অন্য কোনো কারণও আছে? কখনো নিশ্চয় মনে প্রশ্নটা এসেছে, আসুন উত্তরটা জেনে রাখি: 

অনেকে বলেন, লিফটে আয়না লাগিয়ে যাত্রী বা আরোহীদের মনটাকে একটু ব্যস্ত রাখা।

কারণ ওপরের দিকে ওঠাটা সবসময়ই শরীরের পক্ষে অস্বস্তিকর। বদ্ধ জায়গায় অনেকেরই দম-বন্ধ লাগে, একে ক্লাসট্রো ফোবিয়া বলে।

এমন হলে ছোট জায়গায় থাকতে ভয় হয়, তাদের ভয় লাগে তারা বোধহয় জায়গাটা ছেড়ে আর বের হতে পারবেন না।  

ফলে আয়না লাগালে স্বাভাবিকভাবেই মনে হয় জায়গাটা অনেকেটা বেড়েছে।

লিফটের ভেতর যাত্রীরা কিছুই করতে পারেন না, বোর হন, ভয়ও পান। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি দিয়ে লিফটের সময়টা যাত্রীকে ব্যস্ত রাখতেই লিফটে লাগানো হল আয়না।  

লিফট ব্যবহারের সময় ছোট কিছু বিষয়: 

•    লিফটে ওঠার জন্য তাড়াহুড়া করবেন না। লাইন করে লিফটে উঠুন এবং নামুন

•    কোনো কারণে লিফট মাঝপথে আটকে গেলে উদ্বিগ্ন না হয়ে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন। ইমারজেন্সি বাটন চাপুন 

•    হাসপাতালের লিফটে আগে রোগীকে উঠতে দিন 

•    লিফটে উচ্চ শব্দে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।  

•    লিফটে আয়নায় নিজেকে এমনভাবে দেখা যাবে না, যাতে করে সবার মনযোগ আপনার দিকে চলে আসে।  

হঠাৎ লিফট ছিঁড়ে গেলে কী করবেন?

প্রযুক্তির কারণে মানুষের প্রতিদিনের জীবনযাত্রা হয়েছে অনেক সহজ। কিন্তু এই প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষের জন্য অনেক সময় বিপত্তির কারণ হয়ে দাড়ায়।ঘটে যেতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।

প্রযুক্তির একটি অন্যতম আবিষ্কার হচ্ছে অত্যাধুনিক লিফট। বর্তমানে লিফট ব্যবহার মানুষের সময় কমিয়ে প্রশান্তি দিয়েছে। কারণ উঁচুতলা ভবনগুলো লিফট ছাড়া কল্পনা করা যায় না।

কিন্তু অনেক সময় যান্ত্রিক ত্রুটির সময় লিফট ছিঁড়ে ঘটে বিপত্তি।

আসুন জেনে নেই লিফট ছিঁড়ে গেলে কী করবেন।

১. লিফট ছিঁড়ে গেলে শরীরের ওজনের ১০ গুণ ওজন এসে ভর করে। তাই লিফট ছিঁড়ে গেলে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকুন। ফলে মারাত্মক জখমের শিকার হতে পারেন আপনি।

২. লিফট যখন পড়ে যেতে থাকবে তখন যত দ্রুত সম্ভব চিৎ হয়ে দুই হাত ও পা ছড়িয়ে লিফটের মেঝেতে শুয়ে পড়া একমাত্র নিরাপদ কৌশল।

৩. কখনোই লাফ দেবেন না। লাফালাফি করলে লিফট আরো বেশি গতিতে আছড়ে পড়বে। লাফের কারণে আপনি মাথায় আঘাত পেতে পারেন।

৪. লিফটে বেশি মানুষ থাকলে লিফটের মেঝেতে বসে পড়তে হবে। আপনি দাঁড়িয়ে থাকলে অস্থিতে যে পরিমাণ চাপ পড়ত তার তুলনায় অস্থিতে কম চাপ পড়বে এ পজিশনে। যদি বসে পড়ার মতো জায়গা না থাকে, তাহলে অন্তত চেষ্টা করুন হাঁটু বাঁকা করে রাখতে, এটিও পায়ের বল কমাতে কিছুটা সাহায্য করবে।