ক্ষতিকর যেসব অভ্যাস- যকৃৎ বা লিভার শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এটি জমে থাকা ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দেয় শরীর থেকে। লিভারের কর্মক্ষমতা নষ্ট হলে শরীরে জমে যাওয়া টক্সিন শরীরেই থেকে যাবে। এতে শরীরের একের পর এক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হতে শুরু করবে।
এ কারণে শরীর সুস্থ রাখতে লিভার সুস্থ রাখা অত্যন্ত জরুরী। দৈনন্দিন জীবনের কিছু কিছু অভ্যাস লিভারের মারাত্মক ক্ষতি করে। সময় মতো সতর্ক না হলে অকালেই লিভার তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে। যেমন-
১. সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর দীর্ঘক্ষণ খাবার না খেয়ে থাকার অভ্যাস লিভারের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর! দীর্ঘদিন ধরে এই অনিয়ম চলতে থাকলে লিভারের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতাও কমে যায়।
২. অনেকেই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর আলসেমী করে পায়খানা-প্রস্রাব চেপে শুয়ে থাকেন। এই অভ্যাস লিভারের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন ধরে এ অভ্যাস ধরে রাখলে লিভারের কর্মক্ষমতা কমে যায়।
৩. অতিরিক্ত পরিমাণে ফলমূল বা কাঁচা সবজি খেলে সেইসব হজম করাতে পরিপাকতন্ত্রের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এতে লিভারেও চাপ পড়ে।
৪. দেরী করে ঘুমাতে যাওয়া এবং দেরী করে ওঠা দুটিই লিভারের জন্য ক্ষতিকর। এই অভ্যাসের ফলে হজমজনিত নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়।
৫. মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে ওষুধ খেলে লিভার নষ্ট হয়ে যেতে পারে৷ বিশেষ করে অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যথা কমানোর ওষুধে লিভারের কর্মক্ষমতা ধীরে ধীরে হ্রাস পায়।
৬. অতিরিক্ত অ্যালকোহল পানের অভ্যাসে লিভার অকার্যকর হয়ে পড়ে।
৭. অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার লিভারের জন্য খুবই ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকলে লিভার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে।
৮. মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়াদাওয়ার অভ্যাসও লিভারের পক্ষে ক্ষতিকর।
৯. ক্ষতিকর রাসায়নিক রঙ যুক্ত যে কোনও খাবার লিভারের জন্য বিপজ্জনক। সূত্র : জি নিউজ
প্রোটিনের ঘাটতি হওয়ার যত উপসর্গ….
শরীরের সুস্থতার জন্য প্রোটিন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। প্রোটিনের মাত্রা বেড়ে গেলেও যেমন শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়, তেমনই প্রোটিনের ঘাটতি হলেও শরীরে নানা জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে।
শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হলে ত্বক, নখ, চুলের একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। কিছু কিছু লক্ষণের মাধ্যমে এই উপসর্গ প্রকাশ পায়। যেমন-
১. হঠাৎ করে ত্বক শুষ্ক, রুক্ষ বা খসখসে হয়ে যায়।
২. প্রোটিনের অভাবে নখের রং ফ্যাকাশে হয়ে যেতে পারে।তখন নখ দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায়।
৩. শরীরে প্রোটিনের অভাবে হলে রক্তরস কমে আসে। এতে চোখের চারপাশ অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যেতে পারে।
৪. প্রোটিনের অভাবে হঠাৎ প্রচুর পরিমাণে চুল ঝরতে পারে।
৫. শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হলে লালাগ্রন্থি ফুলে যায়। এতে হঠাৎ গাল, মুখ ফুলে যেতে পারে।
৬. শরীরের প্রোটিনে ঘাটতি হলে সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগে। সামান্য পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে যেতে পারেন। সব সময় ঘুম ঘুম ভাব বা ঝিমুনি ভাবও দেখা দেয়।
৭. প্রোটিন শরীরে নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। তাই প্রোটিনের ঘাটতি হলে শরীরে পানির আধিক্য দেখা দেয়। তখন শরীরের বিভিন্ন অংশে অস্বাভাবিক ফোলাভাব তৈরি হয়।
সূত্র : জি নিউজ