ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় বাবাকে ছেলে কু’পি’য়ে খু’ন করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। নি’হ’ত ওই ব্যক্তির নাম আব্দুল খালেন।
তিনি আছিম পাটুলী ইউনিয়নের খামখেয়ালী বাজার সংলগ্ন মুন্সি বাড়ির বাসিন্দা। ছেলের নাম লিটন মোল্লা (৩৫)। তাকে পুলিশ আ’ট’ক করেছে। গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতের সেহেরির পর এ হ’ত্যা’কা’ন্ডে’র ঘটনা ঘটে। তবে কী কারণে এ হ’ত্যা’কা’ন্ড তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, বাবাকে হ’ত্যা’র জন্য কয়েকদিন ধরে ছেলে লিটন হু’ম’কি দিচ্ছিল। তার হু’ম’কি’তে বাবা আব্দুল খালেক অন্যের বাড়িতে থাকতেন। শুক্রবার দিবাগত রাতের সেহেরি খাবার পর নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন বাবা আব্দুল খালেক। পরে ঘুমিয়ে থাকা বাবাকে কু’পি’য়ে হ’ত্যা করে ছেলে লিটন মোল্লা পালিয়ে যায়।
ফুলবাড়ীয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ তালুকদার জানান, এ ঘটনায় ছেলে লিটন মোল্লাকে আ’ট’ক ও লা’শ উদ্ধার করা হয়েছে।
দুলাভাই-শ্যালিকার অনৈতিক সম্পর্ক! এরপর…
শেরপুরের শ্রীবরদীতে সুখি (১৮) নামে এক কিশোরীর লা’শ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার রাণীশিমূল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা আসান্দিপাড়া এলাকার দুলাভাইয়ের বাড়ি থেকে লা’শটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় দুলাভাইসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। নি’হ’ত সুখি জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর গ্রামের মৃ’ত জয়নালের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাণীশিমূল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা আসান্দিপাড়া গ্রামের শাহজাহানের ছেলে সালাত মিয়ার সাথে নিহতের বড় বোন রিমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর সালাত তার শ্যালিকা সুখির সঙ্গে অ’বৈ’ধ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং বিয়ে করেছে বলে এলাকাবাসীকে জানায়।
ঘটনার এক সপ্তাহ আগে সুখি সালাতের বাড়িতে আসে। এরপর থেকে কলহ শুরু হয়। শুক্রবার রাতে ওই বাড়ীতে তমুল ঝগড়া-বিবাদ হয়।
শনিবার সকালে সালাত তার বাবা-মা ও বোনকে নিয়ে অটোরিকশা করে পালাতে চেষ্টা করলে এলাকাবাসী টের পেয়ে সালাতকে ধরে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ সালাতের বাড়িতে গিয়ে সালাতের ঘর থেকে সুখির লা’শ উদ্ধার করে।
এ ব্যপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার বলেন, এ ঘটনায় নিহতের দুলাভাই সালাত তার মা ও বোনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে এবং থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। লা’শ ময়না তদন্তের জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতাল ম’র্গে পাঠানোর হয়েছে।