ফরিদার স্বামী আনোয়ার হোসেন ব্যবসার কাজে বাইরে থাকেন। সকালে বেরিয়ে ফেরেন বিকেলে, আবার সন্ধ্যায় বের হয়ে গেলে ফেরেন মাঝরাতে।
হঠাৎ একদিন দুপুরে বাসায় ফিরে স্ত্রী ফ’রিদার রুমে দেখতে পান স্থানীয় মুদি দোকানি ম’নিরকে। আ’নোয়ারকে দেখেই বের হয়ে যায় ম’নির। তখনও বি’ছানা, ফ’রিদার পরনের কাপড় এলোমেলো।
এর চেয়েও ভ;য়’ঙ্কর বিষয় ক;ন;ড;মের ছেঁড়া প্যাকেট পড়েছিল বালিশের কাছেই। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তা দেখছিলেন আ’নোয়ার। কিন্তু কোনো কথা বলেননি। নিরবে পাশের রুমে গিয়ে টিভি দে’খছিলেন।
দিন যাচ্ছিলো আর ফ’রিদার জন্য অপেক্ষা ক’রছিলো চমকের পর চমক। এক পর্যায়ে ম’নিরের সঙ্গে স্বা’ধীনভাবে মেলামেশার সু’যোগ করে দেন স্বা’মী আ’নোয়ার হোসেন নিজেই।
ঘটনাটি পুরান ঢাকার। শেষ পর্যন্ত আ’নোয়ার-ফ’রিদার কবল থেকে রক্ষা পেতে পা’লিয়ে যান ম’নির। সা’মাজিকতার কথা ভেবে বিষয়টি মা;মলা পর্যন্ত না গেলেও গড়িয়েছে থা;না-পু;লিশে।
একটি সাধারণ ডা’য়রি করেছেন ম’নির। মনি’রের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। পুরান ঢাকায় বড় বো’নের বাড়িতে থাকেন। ভগ্নিপতির একটি মুদি দোকান রয়েছে লালবাগে। দুই ক’র্মচারীসহ ওই দোকানটি পরিচালনা করেন তিনি। ভ’গ্নিপতি গাড়ির ব্যবসা করেন। মাঝে-মধ্যে দোকানে পা রাখেন।
দো’কানে প্রতিদিন অনেক নারী-পুরুষের সঙ্গে কথা হয়, পরিচয় হয়। এরমধ্যেই এক না’রীর সঙ্গে কথা বলতে ব’লতে চরম ভালোলাগার সৃষ্টি হয় একুশ বছর বয়সী ম’নিরের। ফর্সা, সুন্দর, সদা হাস্যোজ্জ্বল মুখের পয়ত্রিশ বছর উর্ধ্ব ওই নারীর নাম ফ’রিদা। প্রথমে কে’নাকাটা করতে এলে শুধু এই সংক্রান্ত কথাই হতো।
তা সর্বোচ্চ দুই-এক মিনিট। তারপর ধীরে ধীরে ব্য’ক্তিগত বিষয়ে নানা জিজ্ঞাসা। কোথায় থা’কেন, পরিবারে কে কে আছে, লেখাপড়া কোথায় ক’রেছেন.. এরকম নানা জিজ্ঞাসা ওই না’রীর। ম’নিরও জানতে চান ব্য’ক্তিগত নানা বিষয়।
ফ’রিদা জানান, দোকানে বসে এতো কথা বলা ঠিক না। বাইরে কোথাও ব’সবেন। যেই কথা সেই কাজ। আবেগ প্রবণ ম’নির ফোন নম্বর আদান-প্রদান করেন। এভাবেই স’ম্পর্কের সূ’ত্রপাত। এক বিকালে দেখা হয় দু’জনের। পাশের একটি রে’স্টুরেন্টে বসে কথা বলেন দীর্ঘ সময়। ফ’রিদা তার চাপা কষ্টের কথা বলেন।
বি’য়ে হয়েছে অনেক বছর। সংসারে কোনো সুখ নেই। স্বামী আ’নোয়ার বিয়ের আগে কা’পড়ের ব্যবসা করতেন। ওই সময় থেকেই ব’ন্ধুদের সঙ্গে গাঁ”জা সেবন করতেন আ’নোয়ার। অবশ্য বিয়ের আগে তা জানতেন না ফ’রিদা।
বিয়ের পর জানতে পারেন শুধু গাঁ;জা না, ম;রণ নে;শা ই;য়া;বা তেও আসক্তি আছে তার। জানার পর বাধা দেন ফ’রিদা। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ই;য়া;বা সে’বনের কারণে সারারাত নি’র্ঘুম কাটাতে পারেন। দীর্ঘ সময় শা’রীরিক সম্পর্ক করতে পা’রতেন আ’নোয়ার।
কিন্তু এ মেয়াদ দ্রুত ফুরিয়ে যায় ব’লেছিলেন চি’কিৎসকরা। শরীরে কিছুই থাকে না। পুরোপুরি অ’ক্ষম। অনোয়ারকে চি’কিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরই বি’ষয়টি বুঝতে পারেন। কিন্তু ই;য়া;বা থেকে ফেরানো সম্ভব হচ্ছিলো না তাকে। ম;র;ণ নে;শা ই;য়া;বা তেই ডু’বে রয়েছেন আ’নোয়ার।
ব্যবসাও লাটে ওঠেছে। জমি বিক্রি করে চলতে হচ্ছে এখন। ভে’বেছেন সংসার ছেড়ে চলে যাবেন ফ’রিদা। কিন্তু স্কুল পড়–য়া ছেলে স’ন্তানটির দিকে তাকিয়ে মা;দ;কা;সক্ত স্বা’মীর সংসারই করছেন। তাছাড়া সমাজও বি’চ্ছেদটাকে ভালো চোখে দেখে না। ফ’রিদারও জীবন আছে। যৌ;বন আছে।
এখন তার একজন বন্ধু দরকার। অকপটে কথাগুলো ম’নিরকে বলেন তিনি। ম’নির বিষয়টি বুঝতে পেরে সেভাবেই সাড়া দেন। ছেলে স্কুলে-স্বামী বাইরে, তখনই ম’নিরকে বাসায় ডাকেন ফ’রিদা। একান্তে সময় কাটান দুইজন। সরু গলি দিয়ে ছয়তলা বাড়ির নিচ ত’লার ফ্ল্যা’ট।
ফ’রিদার চেয়ে বয়সে অনেক ছোট ছে’লেকে দেখে কেউ কিছু মনে করে না। অনেকটা স্বা’ধীনভাবেই আসা-যাওয়া করেন ম’নির। ম’নিরের ভগ্নিপতি নাম-পরিচয় গোপন রাখার শর্তে জা’নান, তার অজান্তে দোকান থেকে নি’ত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ফ’রিদার বাসায় পৌঁছে দিতেন ম’নির। সেই হিসেব ছিলো না কোথাও।
বি’ষয়টি জানতে পারেন বেশ পরে। সা’ধারণত সকালে বাসা থেকে বের হয়ে বিকাল ৫টার দিকে বাসায় ফি’রতেন ফ’রিদার স্বামী আ’নোয়ার। আবার বাসা থেকে বের হ’তেন সন্ধ্যায়। ফি’রতেন গভীর রাতে। হঠাৎ এক দুপুরে বাসায় ফেরেন আ’নোয়ার। ম’নির তখন ফ’রিদার কক্ষে। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে দু’জন। কলিংবেলের শব্দ শুনে হ’তভম্ব ফ’রিদা।
এই সময়ে আ’বার কে এলো। সাধারণত ফোন না দিয়ে বাইরের কেউ বাসায় আসে না। ধা;ক্কা দিয়ে ম’নিরকে সরিয়ে দরজার কাছে যান ফ’রিদা। ভেতর থেকে দেখতে পান বাইরে দাঁড়িয়ে আ’নোয়ার। দ্রুত স্বা’ভাবিক হওয়ার চেষ্টা করেন। সময় ক্ষেপণ করলে আ’নোয়ার ভীষণ রে’গে যাবেন। দ’রজা খুলে দেন।
ম’নিরকে দেখতে পান শার্টের বোতাম লাগাচ্ছেন। তা’রপর দ্রুত বের হয়ে যান। ফ’রিদার চুল, শাড়ি, বি’ছানা এলোমেলো। বালিশের পাশে ক;ন;ড;মের ছেঁ”ড়া প্যাকেট। তারপরও স্বাভাবিক আ’নোয়ার। পাশের রুমে বসে টিভি দে’খছিলেন। রাতে ফ’রিদাকে কাছে টেনে জানান, তিনি যেহেতু অ’ক্ষম।
ফ’রিদার বন্ধু হিসেবে ওই ছেলেটা ভালোই হবে। স্বা’ধীনভাবে বাসায় তাকে ডেকে আ’নতে বলেন। রাতে-দিনে। স্বামী আ’নোয়ার হোসেনের কোনো আপত্তি নেই তাতে। তবে বা’ইরের কেউ যেনো না জানে। এজন্য যা হবে বাসাতেই। বি’স্ময়ের শেষ নেই ফ’রিদার। এরপর দিনের পর দিন স্বামীর সহযোগিতায় নিজ বা’সাতেই প”র”কী”য়া প্রে’মিকের সঙ্গে মিলিত হতেন ফ’রিদা।
পা’শের রুমে বসে থাকতেন আ’নোয়ার। ম’নির ভেবে কূল পান না, এটা কিভাবে সম্ভব। কয়েক দিনের ম’ধ্যেই বিষয়টি পরিস্কার হয়। ম’নিরের কাছে আ’নোয়ার দাবি করেন পাঁচ লাখ টাকা।
ইতিমধ্যে গোপন ক্যা’মেরায় ফ’রিদার সঙ্গে অ”ন্তর”ঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ ক’রেছেন তিনি। টাকা না পেলে বউকে দিয়ে ধ”র্ষ”ণ মামলা দেবেন। প্র’য়োজনে ভিডিওগুলো সা’মাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভা’ইরাল করে দেবেন। একই সুরে কথা বলেন ফ’রিদাও। আ’নোয়ার তাকে আগেই বু’ঝিয়েছেন। দরকার টাকা।
এক ম’নির গেলে আরেক ম’নির আসবে। ম’নিরের অভাব নেই। ভগ্নিপতিকে না জানিয়ে ক’য়েক দফায় এক লাখ টাকা দেন ম’নির। এরপর দো’কানের বেহাল অবস্থা দেখে ন’জর দেন ভগ্নিপতি। জানতে পারেন নেপথ্যের কা’হিনী। এরই মধ্যে হু’মকি দিতে থাকেন আ’নোয়ার। এক পর্যায়ে দোকান ছা’ড়েন ম’নির। এমনকি ঢাকা ছেড়ে চলে যান গ্রা’মের বাড়িতে। একটি জি’ডি করেন। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় এক নেতার মাধ্যমে বি’ষয়টির সমাধান হয় বলে জা’নান ম’নিরের ভগ্নিপতি।