করোনা–বিপর্যয় কাটিয়ে ধীরে ধীরে আগের কর্মচাঞ্চল্যে ফিরে যেতে শুরু করেছে স্পেন।
দোকানপাট খোলার পর সম্প্রতি মসজিদে নামাজ পড়ারও অনুমতি দিয়েছে দেশটির সরকার। শর্ত সাপেক্ষে মসজিদে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করতে পারবেন। এ দফায় একসঙ্গে ১৫০ মুসল্লি নামাজ পড়ার সুযোগ পাবেন।
মসজিদে অবশ্যই একজন অন্যজন থেকে এক মিটার দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ পড়তে হবে। মসজিদগুলোতে নিরাপত্তার স্বার্থে অবশ্যই স্যানিটাইজিং করে নিজস্ব জানামাজ ও মাস্ক ব্যবহার করে প্রবেশ করতে হবে।
বাংলাদেশি মানবাধিকার সংগঠন ভালিয়েন্তে বাংলার সভাপতি মোহাম্মদ ফজলে এলাহী এ ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে বলেন, একে অপরের সঙ্গে হাত না মেলানোই ভালো। আপাতত শিশুদের মসজিদে না আনাই উত্তম। সবাই সরকারের নিয়ম মেনে চলুন।
এদিকে দুবাইয়ে পুরোদমে চালু হয়েছে সব সরকারি অফিসের কার্যক্রম। শারজাহ শহরের অফিসগুলো চালু হয়েছে নির্ধারিত ৩০ শতাংশ কর্মী নিয়ে।
দুবাই ইলেক্ট্রিক অ্যান্ড ওয়াটার অথরিটির (ডিইডব্লিউএ) প্রধান নির্বাহী সাইদ মোহাম্মদ আল তায়ের জানান, অফিসে কর্মীদের ভিড় কমাতে প্রবেশের সময় ও কর্মঘণ্টায় সুবিধাজনক পরিবর্তন আনা হয়েছে। তবে সব ক্ষেত্রেই বাড়তি সতর্কতা অনুসরণ করা হচ্ছে।
প্রত্যেক কর্মীকেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক সরবরাহ করা হচ্ছে। থার্মাল ক্যামেরায় সবার শরীরের তাপমাত্রা মেপে তবেই অফিসে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া অফিসে এসে যদি কারও করোনা সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দেয় তাদের জন্য বিশেষ কোয়ারেন্টাইন জোনও করা হয়েছে।
তবে দুবাই ও শারজাহ শহরে কিছু বিশেষ কর্মী, যেমন- বয়স্ক, যাদের শারীরিক জটিলতা বা পুরনো অসুখ রয়েছে, অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের বাসায় থেকেই কাজ চালিয়ে নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া যেসব নারী কর্মীর নবম গ্রেড বা তার নিচের স্কুলগামী সন্তান রয়েছে তাদের চলতি শিক্ষাবর্ষ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অফিসে হাজির না হলেও চলবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার কমে আসায় অর্ধেক কর্মী নিয়ে দুবাইয়ে সরকারি অফিস চালু হয়েছিল ৩১ মে। তবে বেশকিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পুরোদমে অফিস শুরু করে ৩ জুন থেকে।
করোনা সংকট পুরোপুরি না যাওয়া পর্যন্ত সব অফিসেই পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সতর্কতা মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স শেখ হামদান বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম।