শখের বশে কুয়েতের জামাল সংগ্রহ করলেন- শখ থেকে মানুষ কত কিছুই না সংগ্রহ করে। কুয়েতের জামাল সালিকের এমন একটি শখ আছে। তিনি সংগ্রহ করেন তসবি। তসবি তো মুসলিম পরিবারে খুবই পরিচিত সংগ্রহ।
উপাসনার জন্য এটি একটি আবশ্যিক জিনিস। তবে জামাল সালিকের মতো তসবি পাগল মানুষ দুনিয়ায় কমই আছেন। তিনি রীতি-মতো তসবির জাদুঘর বানিয়ে ফেলেছেন নিজের বাসায়। সেই সংগ্রহের স্বীকৃতিও পেয়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে।
২০১২ সালের দেওয়া সেই স্বীকৃতি এখনো জামালের দখলে, তিনিই বিশ্বের সবচেয়ে অধিকসংখ্যক তসবি সংগ্রাহক। সে সময় গিনেসের হিসাব অনুসারে, তাঁর সংগ্রহে ছিল মোট ৩ হাজার ৬৪২টি তসবি। এখন নিশ্চয় তা বেড়েছে আরও কিছুটা।
জামাল সালিকের সংগ্রহের বেশির ভাগ তসবিহ তৈরি ‘অ্যাম্বার’ (অলংকারে ব্যবহৃত এক প্রকার স্বচ্ছ হলুদাভ বাদামি পাথর) দিয়ে। এ ছাড়া প্রবালসহ উপল, নীলার মতো বিভিন্ন মূল্যবান পাথরের নানা ধরনের তসবি রয়েছে তাঁর সংগ্রহে। কীভাবে জোগাড় করলেন বিশাল সংগ্রহ?
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘প্রথম তসবিটা কেনার পর খুবই চমৎকার একটা জিনিস বলে মনে হয়েছিল। তারপর একের পর এক কিনতে থাকি। এক সময় প্রতিদিনই আমি তসবি কিনতে দোকানে যেতে থাকলাম।’ তসবি সংগ্রহের সেই শখ তাঁকে নিয়ে গেছে বিশ্বের নানা দেশে লেবানন, মিসর, তুরস্ক, সৌদি আরব ঘুরে গড়ে তুলেছেন এই মূল্যবান সংগ্রহশালা।
আর এসব তসবির সম্মিলিত মূল্যমান? সেটা জানাতে গিয়ে কিছুটা দ্বিধা-বোধ করেছেন জামাল। বাজারমূল্য যা–ই হোক, আদতে এই সংগ্রহ যে তাঁর কাছে অমূল্য কিছু, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। (গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অবলম্বনে)
সুত্র-আমাদের সম্য ডট কম।
কয়েক ধরনের ফুলের চা যা ওজন কমায়
যারা চা ছাড়া কিছুই বোঝেন না তাদের ওজন কমানোর রসদ সেখান থেকেই মিলতে পারে। তবে যেকোনো চা হলে চলবে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফুলের চা হতে পারে একইসঙ্গে অসাধারণ স্বাদ গ্রহণ ও ওজন কমানোর মোক্ষম অস্ত্র।
ফুলের চায়ের জন্যে সুপারশপে দৌড়াতে হবে না। আপনি নিজেই অতি সহজে এ জিনিস বানাতে পারেন। বেশ কয়েক ধরনের ফুলের কথা বলেছেন বিজ্ঞানীরা। এগুলো পুরোপুরি ফোটার পর পাঁপড়িগুলো সংগ্রহ করতে হবে। ভালোমতো ধুয়ে ফুটন্ত পানিতে দিলেই ফুলের চা হয়ে যাবে। এখানে জেনে নিন এদের কথা। প্রতিটি চা-ই ওজন কমানোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সঙ্গে আরো অনেক উপকার মিলবে।
গোলাপের চা :
এর স্বাদ খুবই ভালো। মেয়েদের পিরিয়ড সংক্রান্ত ব্যথা নিরাময়ে উপকারী। এতে আরো আছে ভিটাইমিন সি, যা কিনা ঠাণ্ডা-সর্দি সারাই করে। আবার ত্বক ও চুলের যত্ন নেয়। হজমের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। মানসিক চাপ দূরে রাখে। সেইসঙ্গে মূত্রনালীর সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
ল্যাভেন্ডার :
এই ফুল বেশ পরিচিত। খুঁজলে মিলেও যায়। এই চায়ের চা হজমে উপকারী। খিঁচুনি এবং সংশ্লিষ্ট রোগ নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
চন্দ্রমল্লিকা :
আমাদের দেশে পরিচিত ফুল। এতে আছে বি ক্যারোটিন, যা কিনা যকৃতে পৌঁছে ভিটামিন এ-তে পরিণত হয়। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। চেহারায় বয়সের ভাব আসতে দেয় না। শরীরকে শীতল করে। জ্বর ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
জুঁই :
আরেকটি পরিচিত ফুল। এটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ডায়াবেটিস দূরে রাখে। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি হ্রাস করে। প্রাকৃতিকভাবেই পেশির ব্যথা নিরাময়ের গুণ রয়েছে এর।