ভারতের স্কুলে কুরআন শিক্ষার প্রস্তাব করেছেন মেনেকা গান্ধী- ভারতের স্কুল গুলোর বেঁড়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের জন্য পবিত্র কুরআনুল কারিম সহ পৃথিবীর ছয়টি ধর্মীয় গ্রন্থ শিক্ষার আহ্বান জানান নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী মেনেকা গান্ধী। বর্তমান বিশ্বে চলমান ধর্মীয় উত্তেজনা ও স’হিং’স’তা কমাতে ও ভ্রান্তি দূর করতে ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প নেই।
ভারতের নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী মেনেকা গান্ধী দেশটির স্কুল গুলোতে ইসলাম ধর্মের ঐশী গ্রন্থ আল কুরআন সহ বিভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠ্যবই হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন। যাতে শিশুরা বিভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে শৈশবই অবগত হন এবং ধর্ম সম্পর্কের তাদের সঠিক অর্জন হয় এবং ভ্রান্তি দূর হয়।
তিনি বলেন, ‘স্কুলের শিক্ষার্থীদের পৃথিবীর ছয়টি ধর্মের শ্রেষ্ঠ পবিত্র গ্রন্থ সম্পর্কে ধারণা থাকবে হবে। বিশেষ করে কুরআন ও বাইবেল। এর মাধ্যমে তাদের মধ্যে বিভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে বিরাজিত ভ্রান্তি ধারণা দূরীভূত হয়ে যাবে।
ভারতের এই মন্ত্রী জানান, ‘বর্তমান সময়ে বিশ্বে ধর্মীয় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর একটি কারণ হচ্ছে শিশুদের মধ্যে অন্যান্য ধর্ম সম্পর্কে অধিক জ্ঞান না থাকা। আর বড় হওয়ার পর ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ না থাকা।
মেনেকা গান্ধী মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের নিকট আহ্বান জানান যে, স্কুল গুলোতে সপ্তাহে কমপক্ষে দুই দিন বিশ্বের ছয়টি ধর্মের পবিত্র গ্রন্থের বিষয়ে যেন ক্লাস নেয়া হয়। আমরা নিজেদের ধর্মীয় গ্রন্থ অধ্যয়ন করেছি। এছাড়াও আমি কুরআন পড়েছি।
ইসলাম ধর্মে ধারক ও বাহক হজরত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুদ্ধের বিরোধিতা করতেন। আমাদের সময় স্কুল গুলোতে নৈতিকতা জ্ঞানের শিক্ষা দেয়া হত; কিন্তু এই ক্লাস অন্য কোন স্কুলে নেয়া হত না বলে জানান তিনি। ভারতের স্কুল গুলোতে ইসলাম সহ অন্যান্য ধর্মের ধর্মীয় গ্রন্থ গুলোর ওপর শিক্ষা দিলে সহিংসতা অনেকাংশে কমে যাবে।
পিতা-মাতা হচ্ছে সবচেয়ে বড় নিয়ামত তাদের অবজ্ঞা করো না: আল্লামা শফী
হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমাদ শফী বাবা-মাকে অবজ্ঞা ও অবহেলা না করতে সমাজের মানুষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, তারা হচ্ছেন দুনিয়ার নেয়ামত।
গত সোমবার নারায়ণগঞ্জের বন্দরে মাহমুদনগর হাজী তাহের আলী ডকইয়ার্ড মাঠে জামিয়া হাজী শাহজাদী বাইতুল কুরআন মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত ছাত্রদের পাগড়ি প্রদান উপলক্ষে ইসলামি মহা সম্মেলন হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আল্লামা শফী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল্লামা আহমাদ শফী মুসলিম উম্মাহর উদ্দেশ্যে বলেন, যারা দুনিয়াতে ওলামা-মাশায়েখদের সঙ্গে চলাফেরা করেছেন, আল্লাহ-রাসুলের নির্দেশ মতে আমল করেছেন হাশরের ময়দানে তারা মুমিন হয়ে তাদের সঙ্গেই সাক্ষাত হবে।
যারা শ্রেষ্ঠনবী হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (দ.) এর সুন্নতকে জিন্দা রেখে দাড়ি রেখে ৫ ওয়াক্ত নামায কাযা করে নাই, তাদের নিবাস হবে জান্নাতের সুপরিসর স্থানে। তিনি আরো বলেন, ‘দুনিয়ার চাকচিক্য দেখে নিজেকে উজার করে দিও না।
বেঁচে থাকতে পিতা-মাতাকে যারা অবহেলা করবে, অবজ্ঞা করবে তারা যত আমলই করুক আর যত বড় পিরের মুরিদই হোক কোন কাজে আসবে না। পিতা-মাতা হচ্ছে সবচেয়ে বড় নিয়ামত। সময় থাকতে যারা আখেরাতের জন্য সঞ্চয় করবেন পরকালে তাদের জন্য রয়েছে শান্তি আর শান্তি।
মহা সম্মেলন শেষে আল্লামা আহমাদ শফী মাদ্রাসার ১৬জন মুফতি ও ২০জন হাফেজকে পাগড়ি পড়িয়ে সম্মাননা প্রদান করেন। বিকাল ৪টায় হেলিকপ্টারযোগে চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
জামিয়া হাজী শাহজাদী বাইতুল কুরআন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ আব্দুস সালাম মিয়ার সভাপতিত্বে সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করেন বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের (বেফাক) মহাপরিচালক আব্দুল কুদ্দুছ, নারায়ণগঞ্জ জেলা ওলামা পরিষদের সভাপতি আব্দুল আউয়াল, আমলাপারা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আব্দুল কাদির, জামিয়া হাজী শাহজাদী বায়তুল কুরআন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ছগির আহমেদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কর্নফুলি শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রশিদ, কদমতলী চাউল আড়ৎ সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ, অত্র মাদ্রাসার সেক্রেটারি সোহেল করিম রিপন, কদমতলী স্টিল মিলের এমডি সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ স্টিল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ ফজলুল হক বকুল, মাহমুদ নগর পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি হুমায়ুন কবির প্রমুখ। এর আগে তিনি সূদুর চট্টগামের হাটহাজারী থেকে হেলিকপ্টারযোগে নারায়ণগঞ্জে আসেন।