নারায়ণগঞ্জে একদিনে ক’রো’নাভাই’রাসে সর্বোচ্চ ৮৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন ৷ গত ২৪ ঘণ্টায় এ ৮৪ জন আক্রান্ত হন। গার্মেন্টস খোলার পরদিনই আ’ক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যায়।
এ নিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট ৭৪২ জন। তবে নতুন করে করোনায় কারও মৃ’ত্যু হয়নি৷ ক’রো’নাভাইরাসে আ’ক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে মা’রা গেছেন ৪২ জন।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। এর আগে সোমবার পর্যন্ত আ’ক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৫৮ জন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সিটি করপোরেশন এলাকায় করোনায় আ’ক্রান্ত হয়ে মা’রা গেছেন ২৮ জন। পাশাপাশি আ’ক্রান্ত হয়েছেন ৫০৪ জন। অন্যদিকে সদর উপজেলায় মারা গেছেন ১০ জন ও আ’ক্রান্ত ১৮৬ জন।
বন্দর উপজেলার পাঁচ ই’উ’নিয়নে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ ও মারা গেছেন একজন। আড়াইহাজার উপজেলায় আ’ক্রান্ত ১৬, সোনারগাঁয়ে ১৬ ও মা’রা গেছেন দুজন এবং রূপগঞ্জে মা’রা গেছেন একজন ও আক্রান্ত ১০ জন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত জেলায় মোট ২ হাজার ৪২৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৬০ জনের। জেলায় এ পর্যন্ত ক’রোনায় আ’ক্রান্ত থেকে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৩০ জন।
এর মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকার ১৮ জন, সদর উপজেলার আট, রূপগঞ্জে এক এবং আড়াইহাজারের তিনজন। নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, নারায়ণগঞ্জে এ পর্যন্ত ৭৪২ জন ক’রোনাভাইরাসে আ’ক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮৪ জন আ’ক্রান্ত হন।
ঢাকায় থাকা শ্রমিকদের দিয়েই পোশাক কারখানা চলবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রাণঘাতী মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই পোশাক কারখানা চালু করা হচ্ছে। তবে বাইরে থেকে কোনো শ্রমিক নয়; শুধু ঢাকায় অবস্থানরত শ্রমিকদের দিয়ে কারাখানা চালু করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র ঢাকায় অবস্থানরত শ্রমিকদের নিয়েই পোশাক কারখানা চালু করা হচ্ছে। বাইরে থেকে কোনো শ্রমিক আসতে পারবেন না।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দফতরের সম্মেলন কক্ষে পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা (পোশাক কারখানার মালিকরা) প্রধানমন্ত্রীর কাছে ওয়াদা করেছেন যে জনস্বার্থে এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে কারখানা চালু করবেন এবং করোনাভাইরাসে যেন আরও অনেকে আক্রান্ত না হন, তাই ঢাকার বাইরে থেকে কোনো শ্রমিক আনবেন না।
ঢাকায় যেসব শ্রমিক অবস্থান করছেন তাদের দিয়েই তারা কারখানা চালু করবেন। সেভাবেই তারা কারখানা খুলছেন।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন- তারা কোনো শ্রমিককে ইনভাইট করেননি। ভবিষ্যতেও করবেন না, যে পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না ঘটবে। তারা শ্রমিকদের বেতনের ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করেছেন বলে বৈঠকে আমাদের জানিয়েছেন।
বৈঠকে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, আমরা কোনো শ্রমিক দূর-দূরান্ত থেকে আনছি না। তারপরও অনেকে চলে আসছেন। আমরা তাদের নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করছি। যারা ইতিমধ্যে চলে এসেছে আমরা চাচ্ছি ঈদে তারা আবার গ্রামে ফিরে না যাক। ঈদে ছুটি দেয়ার বিষয়ে আমরা আরও একবার বৈঠকে বসব।