একটি কবুতর বিক্রি হল ১২ কোটি টাকায় !

2093

একটি রেসার কবুতর ১২ কোটি টাকা- দেখতে ঠিক সাধারণ কবুতরের মতোই। কিন্তু এর রয়েছে অসাধারণ গুণ। দীর্ঘ দূরত্ব পাড়ি দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে আর্ম্যান্ডো নামের এই কবুতরের। সে কারণেই বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ কোটি টাকা অনলাইন নিলামে বিক্রি হয়েছে এটি।

কবুতরটি বেলজিয়ামের এক নাগরিকের। নিলাম থেকে পায়রাটি কিনেছেন এক চীনা নাগরিক। কিন্তু এত অস্বাভাবিক দাম কেন এই পায়রার? এটি বেলজিয়ামের সর্বকালের সবচেয়ে দীর্ঘ পাল্লার রেসার কবুতর।

এ ধরনের পায়রার দিকনির্ণয় করার ক্ষমতাও অসাধারণ। রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া আর্মান্দোর বর্তমান বয়স পাঁচ বছর। সাধারণত এই বয়সে পৌঁছে এই জাতের পায়রাদের আর চূড়ান্ত অনুমান ক্ষমতা বা দূরত্ব পাড়ি দেয়ার ক্ষমতা থাকে না। তবুও ঠিক কী কারণে এত দামে বিক্রি হলো এই পায়রাটি, তা আশ্চর্য বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পিপা অনুসারে, আর্ম্যান্ডো যে কোনও অনলাইন নিলামে সর্বোচ্চ দামে বিক্রির রেকর্ড গড়েছে। পূববর্তী রেকর্ড ছিল ৩,৭৬,০০০ ইউরো যা গত বছরের নভেম্বরে হয়েছিল। এছাড়া এটি ৫ লাখ ইউরোর অফলাইন বিক্রির রেকর্ডও ভেঙ্গে দিয়েছে।

স্ত্রী-র বানানো টিফিন রোজ এক ভিখারীকে খাওয়াতো স্বামী, সেই কথা জানতে পেরে ভিখারীকেই বিয়ে করে নিলেন মহিলা

আমাদের পৃথিবী যেমন আজব বৈচিত্রে ভরপুর তেমনি এখানে ঘটা বিভিন্ন ঘটনাগুলিও মাঝেমধ্যেই আজব ধরণের হয়।

আপনারা তো লাভস্টোরি অনেক ধরণের শুনে থাকবেন বা দেখেও থাকবেন, কিন্তু আজ আপনাদের এমন এক লাভস্টোরির কথা বলবো যেখানে এক মহিলা একজন ভিখারিকে বিয়ে করে নেন।

স্ত্রী রোজ তার স্বামীকে অফিসে নিয়ে যাওয়ার জন্য টিফিন বানিয়ে দিতেন এবং স্বামী সেই টিফিন নিয়েও যেত। সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হল স্ত্রী তিনমাস ধরে স্বামীর জন্য টিফিন বানিয়ে দিতেন, আর স্বামী সেই টিফিন রোজ ফাঁকা করেই বাড়ি ফিরতো।

এই ব্যাপারে স্ত্রী-রও একটু সন্দেহ হত, স্বামীকে যাই টিফিন বানিয়ে দিত না কেন, সে কোনদিন বাড়ি ফিরে কোনো অভিযোগ করতো না।

স্বামীর এরকম আচরণ দেখে স্ত্রী যতটা না হতচকিত হয় তার চেয়ে অনেক বেশি হতচকিত হয় স্বামী তার স্ত্রীর কাণ্ড দেখে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সম্পূর্ণ ঘটনা –

এক মহিলা তিন মাস ধরে তার স্বামীকে রোজ সব্জির টিফিন বানিয়ে দিত আর স্বামীও তিন মাস ধরেই সেই টিফিন খালি করেই অফিস থেকে বাড়ি ফিরতো।

কোনোরকম অভিযোগ না করে রোজ রোজ খালি টিফিন বাড়ি নিয়ে আসায় মহিলার সন্দেহ হয়, তাই সে একদিন তার স্বামীর পিছু করে। তারপর সে দেখতে পায়, তার স্বামী সেই টিফিন অফিসে না নিয়ে গিয়ে সেখানেই বসে থাকা এক ভিখারীকে রোজ দিয়ে দেয়।

এইসব ব্যাপার দেখে নেওয়ার পর মহিলা একদিন তার স্বামীকে হাতেনাতে ধরে এবং সেইদিনই ভিখারীটির সাথেও দেখা করে। ভিখারীর সাথে দেখা করার পর আশ্চর্যজনকভাবে ভিখারীটি ওই মহিলাকে চিনতে পেরে যায়, এরপর প্রকাশ নামের ওই ভিখারী মহিলাকে দু তিনটে ছোটোবেলার শায়েরি শোনায়।

তারপর মহিলাও সেই ভিখারীকে চিনতে পারে কারণ তারা ছোটোবেলায় একে অপরকে ভালোবাসতো আর মেয়েটির বিয়ে হয়ে যাওয়ার কারণেই তারা একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তারপর আর কি, পুরনো প্রেম খুঁজে পেলে দুনিয়ার অনেক কিছুই ভুলে যাওয়া যায়।

এর দু দিন পর মহিলা তার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে সেই ভিখারীকে বিয়ে করে নেন, যে তার ছোটোবেলার প্রেমিক ছিল।

এরপর দুজনে মন্দিরের বাইরে বসে ভিক্ষা করতে শুরু করে। আপনি কখনো এরকম অদ্ভুত প্রেম কাহিনী শুনেছেন যে, কোনো মেয়ে তার বড় বাড়ি, ঘর সংসার ছেড়ে মন্দিরের বাইরে ভিক্ষা চাইতে শুরু করে।

প্রেম নিয়ে আপনি হয়তো অনেক গল্পই শুনে থাকবেন কিন্তু এই ঘটনা সম্পূর্ণরুপে সত্যি। এই গোটা ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার জবলপুরে যেখানে মেয়েটি তার সাথে বিচ্ছেদ হওয়া পুরনো প্রেমিককে দেখে আর থাকতে না পেরে, নিজের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে পুরনো প্রেমিকের সাথে বিয়ে করে নেয়।

কথাতেই শুনে থাকবেন ভালোবাসার অনেক ক্ষমতা রয়েছে, আর ঘটনাটি শোনার পর যে কেউ সেটি মানতেও রাজি হবেন।