সারা পৃথিবীর আগ্রহের কেন্দ্রে চলে এসেছে গণস্বাস্থ্যের যে আবিষ্কার – করেনা ভাইরাসের আ’ত’ঙ্কে’র সারা পৃথিবী যখন কাঁপছে তখন বৈপ্লবিক এক আবিষ্কারের কথা জানাল বাংলাদেশের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
তারা সহজ এবং সুলভ এক পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে, যার মাধ্যমে মাত্র ১৫ মিনিটেই করোনা ভা’ইরাসের পরীক্ষা করা যাবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
এরই মধ্যে সরকারের তরফ থেকে এটি উৎপাদনের অনুমতিও পেয়েছেন বলে জানান ড. জাফরুল্লাহ।
তিনি বলেন, কিটটা হলো, এ দিয়ে রোগী নিজেই নিজের পরীক্ষা করতে পারে। এখানে ছোট যন্ত্র থাকে যাতে র’ক্তে’র নমুনা মিশিয়ে পরীক্ষা করা হয়, ওটা হলো কিট।
করোনার যে কিটটা আছে, এটা ছোট যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করা যায় না। এটার জন্য পিসিআর লাগে। এই পিসিআরের দাম ৫০ লাখ টাকা। এর জন্য বিশেষজ্ঞ লোকজনও লাগে। এই পরীক্ষা করতে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। দুই থেকে পাঁচদিন সময় লাগে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আর আমাদের এই পদ্ধতির বৈপ্লবিক দিক হলো, আমরা ১৫ মিনিটের মধ্যে বলে দিতে পারবো আপনার করোনা হয়েছে কিনা। রোগটা নির্ণয় করে দিতে পারবো।
এই জন্যই সারা পৃথিবীর আগ্রহের কেন্দ্রে চলে এসেছে গণস্বাস্থ্যের এই আবিষ্কার। সূত্র : সময় নিউজ
কি রোগ সেটা ডাক্তার শোনার আগেই রোগীর কাপড় খুলে নেয় আয়া
গাজীপুরের একজন নারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অপর একজন নারী চিকিৎসকের আচরণে ক্ষু’দ্ধ হয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি তার ক্ষো’ভ ঝেড়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ মাধ্যম চাইলে নিউজ করতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ।
গাজীপুরের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবাইয়া ইয়াসমিন তমা তার নিজের ফেসবুক ওয়ালে জানান, সম্প্রতি তিনি রাজধানীর পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন। তিনি অন্য সাধারণ রোগীর মতোই সেখানে যান। কিন্তু তার সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয় তা মোটেই শোভনীয় নয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবাইয়া ইয়াসমিন তমার লেখেন-
‘আমি সাধারণত নিজের কর্মস্থলের বাইরে ডাক্তার দেখালে পরিচয় দিয়ে যাই না, কথা প্রসঙ্গে পরিচয় বের হলে সেটা ভিন্ন কথা।
কিন্তু আজ জনমের মত শিক্ষা হলো, জীবনে আর কোথাও যাই করি, এদেশে ডাক্তার দেখাতে গেলে নিজের পরিচয় না দিলে কোন কোন ডাক্তারের কাছে মান-ইজ্জত তো থাকবেই না, বরং কুকুর-বিড়ালের মত আচরণ পেতে হতে পারে। যদিও সব ডাক্তার এক রকম নয়।’
তিনি লেখেন, ‘আজ ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে গাইনী বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডক্টর কোহিনূর বেগম (প্রাক্তন অধ্যাপক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ) এর কাছে পরামর্শের জন্য গিয়েছিলাম। প্রথমে একজন সহকারি রোগের কথা শুনে সামারি লিখে নিলেন, খুব ভালো।
কিন্তু ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকে দেখি, তিনি অন্য রোগী দেখছেন। ডাক্তার এতই ব্যস্ত যে, একজন আয়া এসে আমার কাছে আমার রোগ সম্পর্কে জানতে চাইলেন। আয়াটার কাজ হচ্ছে, রোগের ‘র’ টা শুনবে, আর অমনি রোগীকে শুইয়ে দিয়ে রোগীর কাপড় খুলে নিবে।
আমি বললাম, আমার কি করতে হবে না হবে, তা ডাক্তার এসে বলুক, আপনি এমন করছেন কেন? আয়া মহাশয়ার জবাবের টোন শুনে মনে হচ্ছে, তিনি কোন লাট বাহাদুর হবেন। অতঃপর ডাক্তার এসে জানালেন, তার এত সময় নেই আমাকে চেক করার, এসে বসে কথা বলতে বললেন।
তিনি যখন কথা বলা শুরু করলেন, তখন মনে হল তার জিহবার সাথে একটা চাকু লাগানো আছে। রোগের কথা যা-ই বলি, তিনি তেলে বেগুনে তেতে উঠছেন।
ক্ষুব্ধ তমা আরও লেখেন, ‘ফ্রি তো দেখাতে যাইনি, সার্ভিস দিতে এত রাগ হয়, টাকাটা নিতে লজ্জা করে না? আমরা জাতি হিসেবে কবে মানুষ হব?
সততা অনেক বিশাল ব্যপ্ত একটি বিষয়; শুধু ঘুষ না খাওয়া মানেই যে সততা নয়। যে কাজের জন্য টাকা নিচ্ছি, সেটা ঠিকমতো না করলে যে ঐ টাকা হালাল হয় না, টেবিলের ওপাশে সেবা নিতে আসা মানুষটার সাথে দুরাচরণ করাটা কত বড় পাপ, তা আমরা কবে বুঝতে শিখবো?’
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবাইয়া ইয়াসমিন তমা জানান, ধানমন্ডি পপুলার এর ডক্টর কোহিনূর বেগম, গাইনোকোলোজিস্ট। তার চেম্বারে আয়া এসে রোগ জিজ্ঞেস করে, ডাক্তার এর সময় বাঁচানোর জন্য, কি রোগ সেটা ডাক্তার শোনার আগেই আয়া এসে রোগীর কাপড় খুলে নেয়। এটা কেমন কথা?
রোগীকে কাপড় খুলতে হবে কিনা, সেটা তো ডাক্তার বলবে তাই না? আর ডাক্তারের আচরণে মনে হচ্ছে তিনি ফ্রি চিকিৎসা দিচ্ছেন, তাই তার সময় নেই, মেজাজ খারাপ। অথচ, এক হাজার টাকা ফি টা যখন নিলেন তিনি, তখন লজ্জা করলো না! রোগী হিসেবে তিনি তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন বলেও জানান এই কর্মকর্তা।