জাপানের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বিজ্ঞানী অধ্যাপক তাসুকু হনজো নোভেল ক’রো’না ভা’ইরা’স প্রাকৃতিক কিছু নয়, এটা মানুষের হাতে তৈরি বলে মন্তব্য করেছেন ।
তিনি বলেছেন, তার এ বক্তব্য কোনো না কোনো দিন সত্য প্রমাণিত হবে। যদি মিথ্যা প্রমাণিত হয় তাহলে তার নোবেল পুরস্কার প্রত্যাহার করে নেওয়া যাবে, এতে তার কোনো আপত্তি নেই।
মিডিয়াতে সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই চা’ঞ্চ’ল্যকর তথ্য তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, এইডস ভা’ই’রাস চিহ্নিত করার স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৮ সালে নোবেল পুরস্কার পান মন্তানিয়ের।
প্রফেসর হনজো বলেন, নোভেল ক’রো’না ভা’ইরা’স যদি প্রকৃতি থেকে আসত তা হলে, সারা বিশ্ব একই সময়ে একইভাবে এই ভা’ইরা’স দ্বারা আ’ক্রা’ন্ত হতো না। কারণ, প্রকৃতির কথা বিবেচনা করলে একই সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের তাপমাত্রা একই রকম নয়।
ভা’ই’রাসটি যদি প্রাকৃতিকই হতো তা হলে চীনের উহানের তাপমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অঞ্চলগুলোতেই এই ভা’ইরা’স প্রভাব বিস্তার করত।
অথচ এই ভা’ইরা’স সুইজারল্যান্ডের মতো দেশকে যেভাবে আ’ক্রম’ণ করেছে, ঠিক একইভাবে মরু অঞ্চলের দেশগুলোতেও আ’ক্রম’ণ করেছে। এটা যদি প্রাকৃতিকই হতো, তা হলে শুধু শীতপ্রধান অঞ্চলেই ছড়াত এবং উষ্ণ অঞ্চলগুলোতে যেয়ে এই ভা’ই’রাসটি ম’রে যেত।
তিনি বলেন, ‘আমি বিভিন্ন প্রাণী এবং ভা’ই’রাস নিয়ে ৪০ বছর ধরে কাজ করেছি। কখনো ভা’ইরা’সের এমন প্রকৃতি লক্ষ্য করিনি। এটা প্রাকৃতিক নয়, এটা মানুষের তৈরি এবং সম্পূর্ণরূপে আর্টিফিসিয়াল।’
হনজো আরও বলেন, ‘আমি চার বছর চীনের উহানের ল্যাবরেটরিতেই কাজ করেছি এবং ল্যাবরেটরির প্রতিটি স্টাফের সঙ্গেই আমার পরিচয় আছে।
ক’রো’না ম’হামা’রী ছড়িয়ে পড়ার পর আমি তাদের সঙ্গে ফোনে বার বার আলাপ-আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু গত তিন মাস ধরে ল্যাবরেটরির সবগুলো টেলিফোন লাইন বন্ধ পাচ্ছি। এতে আমি বুঝতে পারছি, ওই ল্যাবরেটরির কোনো টেকনিশিয়ানই আর জীবিত নেই।
প্রফেসর হনজো বলেন, এতকাল পর্যন্ত গবেষণা করে আমি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, তা থেকে এটা আমি শতভাগ নিশ্চিত করে বলতে পারি, ক’রো’নাভা’ইরা’স প্রাকৃতিক কোনো বিষয় নয়। এটা বাদুড় থেকেও আসেনি। চীন এই ভা’ই’রাসটি তৈরি করেছে।’
প্রফেসর হনজো পরিশেষে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘আমি যে কথাটি আজ বলে দিলাম সেটা যদি মিথ্যা প্রমাণিত হয়, এমনকি আমার মৃ’ত্যুর পরও যদি এ কথাটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়, তা হলে সরকার যেন আমার নোবেল পুরস্কারটি প্রত্যাহার করে নেয়। আমি সেই অধিকার দিয়ে দিলাম। আমি আবারও বলছি, চীন মিথ্যা বলছে এবং এ কথা সত্যি যে একদিন প্রত্যেকের কাছে এটা প্রমাণিত হয়ে যাবে।
ইতোপূর্বে ফ্রান্সের নোবেল জয়ী বিজ্ঞানী লুক মন্তানিয়ের এমনটি ইঙ্গিত দিয়ে বলেছিলেন, উহানের ল্যাবরেটরি থেকেই নোভেল ক’রো’না ভা’ইরা’সটি ছড়িয়েছে। তিনি বলেন, ওই ল্যাবরেটরিতে এইডস ভা’ই’রাসের প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা করতে গিয়ে এটি ভুলবশত বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে।
গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লুক মন্টানিয়ের বলেন, ‘উহানের ল্যাবরেটরিতে চলতি শতকের গোড়ার দিকে এইচ আইভির প্রতিষে’ধক নিয়ে গবেষণা চলছিল। সেখানে যারা কাজ করছিলেন, তারা এই ভা’ইরা’সটির বিষয়ে বেশ অভিজ্ঞ ছিলেন। ক’রো’না ভা’ই’রাসের কোষের মধ্যে এ’ইচআ’ইভির কিছু অংশের উপস্থিতিও পান তারা।
জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় অ্যাজমা চিকিৎসায় ব্যবহৃত আইবুডিলাস্ট ওষুধটি ফুসফুস সুস্থ রাখার জন্য করোনায় আক্রান্ত রোগীদের দিচ্ছেন ইয়েলের নিউ হ্যাভেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। ডেইলি মেইল তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
নিউ হ্যাভেন জানিয়েছে, এই ওষুধ ফুসফুসের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে থাকতে পারে। কয়েকটি প্রাণীর শরীরে প্রয়োগ করে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এখন ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে।
গবেষকদের ধারণা, করোনায় আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীকে ওষুধটি মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে পারে।
করোনাভাইরাসের কোনো টিকা কিংবা ওষুধ না থাকায় বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা নানা ধরনের ওষুধের ওপর গবেষণা করছেন। তবে এখনো কোনোটি কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, তাদের অধীনে ৮০টির মতো প্রতিষ্ঠান ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা করছে। এর মধ্যে চীন, আমেরিকা এবং যুক্তরাজ্য ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। তারা হিউম্যান ট্রায়ালও দিয়েছে।
ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বর নাগাদ তাদের ভ্যাকসিন আসতে পারে। এ বিষয়ে তারা ৮০ শতাংশ আশাবাদী।
দুদিন আগে চীনও একই কথা বলেছে। তারা জানিয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে সেপ্টেম্বরের ভেতর তাদের ভ্যাকসিন আসতে পারে। সেই ভ্যাকসিন প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকদের দেয়া হবে।