৭০ টাকার ইনজেকশন আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি, ডাক্তার গ্রেপ্তার

1699

কসাই ডাক্তার– কম দামের ওষুধ বেশি দামে রোগীদের কিনতে বাধ্য করার অভিযোগে এক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড মোড়ের সেইফল্যান্ড ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড রিসার্স সেন্টার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেফতার ডা. রবিউল আওয়াল বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের উচল বাড়িয়া গ্রামের মো. আহম্মেদ আলী মন্ডলের ছেলে। নগরের বন্দর থানার পশ্চিম নিমতলা এলাকায় থাকেন তিনি। তার চেম্বার থেকে বিভিন্ন ধরনের ৭৯টি ইনজেকশন উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক এএসপি কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ বলেন, ‘রবিউল আওয়াল একজন অর্থোপেডিক বিষয়ের চিকিৎসক।

রোগীদের অস্বাভাবিক বাড়তি দামে ওষুধ কিনতে বাধ্য করার অভিযোগ পেয়ে তার চেম্বারে অভিযান চালানো হয়। সেখানে একজন রোগীকে তার কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা দামে একটি ইনজেকশন কিনতে দেখি।

বাজারমূল্য যাচাই করে দেখি, এর দাম মাত্র ৭০ টাকা। বাড়তি দাম নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। পরে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করি।

র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মাহমুদুল হাসান মামুন বলেন, ‘ডা. রবিউল আওয়াল দীর্ঘদিন ধরে তার কাছে চিকিৎসা নিতে আসা

রোগীদের স্বল্প মূল্যের ইনজেকশন অস্বাভাবিক মূল্যে তার কাছ থেকে কিনতে বাধ্য করে আসছিলেন। বাহির থেকে ইনজেকশন রোগীদের কিনতে দেন না তিনি।’

ডা. রবিউল বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। প্রাইভেট প্র্যাকটিসের পাশাপাশি তিনি চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতালের অধীনে আউটসোর্সিংয়ের ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়ে ‘চট্টগ্রাম বন্দর শ্রমিক সেবাকেন্দ্রে’ কর্মরত আছেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে ইপিজেড থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আমিনুল ওএসডি, হাসপাতাল শাখার নতুন পরিচালক ফরিদ

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) আমিনুল ইসলামকে ওএসডি বা বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা হয়েছে।

ওই পদে নিয়োগ পেয়েছেন ডা. মো. ফরিদ হোসেন মিঞা। তিনি বর্তমানে যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির উপ-পরিচালক ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই রদবদল এনে আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে।

আমিনুল হাসানকে পরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। এই দুই কর্মকর্তাকে বদলি করা স্থানে আগামী ৩ দিনের মধ্যে যোগ দিতে বলা হয়েছে, অন্যথায় তারা চতুর্থ দিনে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিজ) বলে গণ্য হবেন।